আরাফাত রায়হান সাকিবঃ মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের সিপাহীপাড়া কবরস্থান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য দাফনের ১০মাস ৬দিন পর মোঃ রুবলে নামের এক মৃত্য ব্যাক্তির দেহাবশেষ উত্তোলন করা হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এম. রফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে নিহতের মায়ের উপস্থিতিতে রোববার দুপুরে লাশের দেহাবশেষ উত্তোলন করা হয়।
এদিকে কবে আদালতের নিদের্শ দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে গনমাধ্যমকে তথ্য দিতে আপারগতা জানায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এম রফিকুল ইসলাম ও মামলা তদন্ত কর্মকতা একরামুল হোসেন।
বাদী সূত্রে জানা যায়, গতবছর ২০১৮ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর রাতে সদর উপজেলার সিপাহীপাড়া এলাকার মৃত হুমায়ন তালুকদারের পুত্র মোঃ রুবেলের বসতবাড়ীতে রহস্য জনক মৃত্যু ঘটে।
পরদিন সকালে তার স্ত্রীর বাড়ী লোকজন সিপাহীপাড়া কবরস্থানে রুবেলকে দাফন করে।
এঘটনায় নিহতের মা রহিমা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করলে চলমান মামলায় পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রী ফাহিমা, শ্বাশুড়ী শ্যামলী ও শ্যালক এমরানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা জেলা হাজঁতে রয়েছে।
পরবর্তীতে দাফনকৃত লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নিদের্শ দেয় আদালত।
মামলা বাদী রহিমা বেগম জানান, ঘটনার দিন আমি বাড়ীতে ছিলাম না, আমার ছেলেকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। ঘটনার দিন রাতে রুবেল আমাকে কল দিয়ে তাকে বিষ খাওয়ানোর কথা জানিয়েছিলো। পরদিন আমি আসার আগেই ছেলে বউ ও স্ত্রাী বাড়ির লোকজন মিলে রুবেলকে দাফন করে। ছেলে হত্যার বিচারের দাবীতে আমি ঘুরছি। আমি সুষ্ঠ বিচার চাই।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে. এম. রফিকুল ইসলাম জানান, আদালতে নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি উত্তোলনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। লাশটি উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে এর বেশি কিছু বলতে পারবো না।
কবে নাগাদ আদালত থেকে নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে? এমন প্রশ্নে বিষয়টি জানাতে পারবেনা বলেন জানান।