হমুন্সিগঞ্জ, ৩ জুন ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদরে দশ হাজার টাকার জন্য ছুড়ি দিয়ে গলা জবাই করে শাশুড়িকে খু.ন করেছে মেয়ে জামাই। গতকাল (রোববার) আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি সূত্রে মিলেছে লোমহর্ষক এ তথ্য। উদ্ধার হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি।
এর আগে শনিবার অভিযুক্ত জাহিদ হাসান তানভীরকে (২১) বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের গুহপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা ডিবির উপপরিদর্শক শিমুল শেখ জানান, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের নাহাপাড়া এলাকায় নিজ বসতঘর থেকে স্বামীহীনা নারী ঝর্ণা বেগমের (৪২) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও কোন কুলকিনারা পাওয়া যাচ্ছিলো না। সর্বশেষ তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন কৌশলে নিহত ঝর্ণা বেগমের ছোট মেয়ে মিমের স্বামী জাহিদ হাসান তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি প্রথমে পুলিশের কাছে ও পরে আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বিস্তারিত জানান।
আসামি জাহিদ হাসান তানভীরের বরাতে ডিবির এই সদস্য জানান, স্থানীয় এক দোকানদার তানভীরের কাছে ১০ হাজার টাকা পেতেন। পাওনা টাকা পরিশোধের উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তানভীর তার শাশুড়ি ঝর্ণার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। শাশুড়ি টাকা না দিয়ে বিষয়টি তানভীরের স্ত্রী অর্থাৎ নিহত ঝর্ণা বেগমের মেয়ে মীমকে টেলিফোন করে জানান। তানভীর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তানভীর তার সাথে থাকা ছুড়ির মাধ্যমে পেছন থেকে তার শাশুড়ির গলা কেটে ফেলেন। এসময় রক্ত গড়িয়ে তার পায়ে লাগলে বাইরে পুকুরে গিয়ে পা ধুয়ে বাড়ির দিকে চলে যান তিনি।
মামলার বাদী নিহত ঝর্ণা বেগমের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী রাব্বি মোল্লা বলেন, ‘আমার বোন মিমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে ৮ মাস আগে বিয়ে করে বজ্রযোগীনির গুহপাড়া এলাকার আমির সরকারের ছেলে তানভীর। মাদক সেবনের জন্য সে বিভিন্ন সময় আমার মা ও বোনের কাছে টাকা পয়সা দাবি করতো। কিন্তু একটা মানুষ কতটা নিকৃষ্ট হলে দশ হাজার টাকার জন্য মায়ের মত শাশুড়িকে খুন করতে পারে। আমি তানভীরের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’