রিয়াদ হোসাইনঃ মুন্সিগঞ্জে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু জ্বর শনাক্ত করনের যথাযথ ব্যবস্থা নেই। মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও ডেঙ্গু জ্বর শনাক্তের ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। নিরুপায় হয়ে রোগীরা ছুটছেন বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে।
সোমবার (২৯ জুলাই) বিকাল পর্যন্ত জেলার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৭ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জন মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি দু’জন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত সদর উপজেলার রিকাবীবাজার এলাকার রনি, রামপাল এলাকার ফকির শিকদার, শোভন, হোগলাকান্দি এলাকার মাহবুব, এনায়েতনগর এলাকার আক্তার শিকদার, বাগাপুর এলাকার আবুল খায়ের ও শিশু ওলি (৬) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে গুরুত্বর অবস্থায় ওলি ও আক্তার শিকদারকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি জানান, ডেঙ্গু চিহ্নিত করার জন্য তিনটি পরীক্ষা চিকিৎসকরা করে থাকেন। এর মধ্যে সিবিসি ও প্লাটিলেট পরীক্ষা মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে করা হয়। কিন্তু এন্টিজেন (এনএস-১) পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গু পজিটিভ কিনা এটি চিহ্নিত করা হয়। এই পরীক্ষাটি করার যন্ত্র জেলার সরকারি হাসপাতালে নেই। বেসরকারিভাবে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এন্টিজেন পরীক্ষা করা হয়। সিবিসি ও প্লাটিলেট পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা হয় প্লাটিলেট কমে গেছে কিনা।
তিনি আরও জানান, জেনারেল হাসপাতালে যে কয়জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন তারা কেউই এই এলাকায় আক্রান্ত হননি। সবাই ঢাকা এবং অন্য জায়গা থেকে আক্রান্ত হয়ে এখানে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।