মুন্সিগঞ্জ, ১৯ অক্টোবর ২০২৩, নিজস্ব প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারী দুই বন্ধুকে আটক করেছে সিরাজদিখান থানা পুলিশ।
গতকাল বুধবার রাত আটটার দিকে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের বটতলা এলাকা থেকে পারভেজ নামে এক যুবক ও নোভা নামে এক নারীকে আটক করে পুলিশ। সম্পর্কে তারা বন্ধু। পরে আজ বৃহস্পতিবার তাদেরকে মুন্সিগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
আটককৃত পারভেজ (২২) মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার পারুলপাড়া দেওভোগ গ্রামের মো. আবেদ মোল্লার ছেলে ও নোভা আক্তার (২২) একই উপজেলার রনছ হাওলাপাড়া গ্রামের মো. সালাউদ্দিন বেপারীর মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইছাপুরা ইউনিয়নের ফারুক মিয়ার সাথে একই এলাকার খাদিজা বেগমের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। ৮-১০ দিন পূর্বে খাদিজা বেগম বিরোধের বিষয়ে ফারুক মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য মুন্সিগঞ্জ আদালতে যান। খাদিজা মুন্সিগঞ্জ আদালতের গেটের সামনে থাকা অবস্থায় পারভেজ ও নোভা তার কাছে এসে আদালতে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করে। খাদিজা বিরোধের বিষয়ে বিস্তারিত বললে পারভেজ ও নোভা নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয় এবং তার থেকে ফারুক মিয়ার বিরুদ্ধে একটি দরখাস্ত ও ১হাজার টাকা নেয়। পরে তারা তদন্ত করবে বলে আরো ২ হাজার টাকা নেয়।
এছাড়া তদন্তে এসে ফারুক এর কাছ থেকেও অভিযোগ নিয়ে তার থেকে প্রথমে ৫শত ও পরে ২৫শত টাকা নেয়। গত ১৮ অক্টোবর পুনরায় খাদিজার বাসায় এসে ঝামেলা সমাধান করবে বলে আরো ৫০০ টাকা নেয় ডিবি পুলিশ পরিচয়দারকারী পারভেজ ও নোভা।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় খাদিজা বেগমের বাসায় এসে ডিবি পুলিশের সদস্য পরিচয়দানকারী পারভেজ ও নোভা টাকা দাবি করলে তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে স্থানীয়দের পরামর্শে অ্যাডভোকেট সোহাগকে ফোন দেন ফারুক। এডভোকেট সোহাগ এসে তাদের সাথে কথা বললে সন্দেহ হলে থানা পুলিশকে ফোন দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ভুয়া পরিচয় দেয়া দুইজনকে আটক করে সিরাজদিখান থানায় নিয়ে আসে।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজাহিদুল ইসলাম জানান, আটক দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার রুজু করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।