২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | বিকাল ৫:৩১
মুন্সিগঞ্জে ডাকাতির ঘটনায় আটক ১১
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ও রামপাল ইউনিয়নে পুলিশ পরিচয়ে এবং ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর এলাকায় সাম্প্রতিক ডাকাতির ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যথাক্রমে মুন্সিগঞ্জ সদর থানা, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও শ্রীনগর থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য বলে দাবি পুলিশের।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল মামুন।

এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের ইউনিফর্ম ও হ্যান্ডকাফ জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

পুলিশ সুপার জানান, চলতি মাসের ৮ তারিখ সন্ধ্যা ৭টা’র দিকে মুন্সিগঞ্জ সদরের চরডুমুরিয়া এলাকার তৃষা জুয়েলার্সের মালিক প্রবীর পাল বাড়িতে আসার পথে ভিটিহোগলা কান্দি এলাকায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে ৫ জন ব্যক্তি ২ লাখ টাকা ও ৫০ ভরি স্বর্ণ লুট করে। এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয় থানায়। এই ঘটনায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ফরিদপুর জেলার ভাঙা উপজেলার মৃত জব্বার মিয়ার ছেলে মো. খলিলুর রহমান (৪০) কে সনাক্ত করে আটক করা হয়।

পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চাদপুরের মতলব উপজেলার খালপাড় এলাকার মৃত বাহর আলী প্রধানের ছেলে মোহাম্মদ আল প্রকাশ মাহমুদ আলী (৪৩) কে গ্রেপ্তার করা হয়। সেও এই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

এরপর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মুন্সিগঞ্জ সদরের বাংলাবাজার ইউনিয়নের বানিয়াল মহেশপুর এলাকার মৃত জয়নাল বেপারীর ছেলে শামীম বেপারী (৩২) এবং চাদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মৃত অলি আহম্মেদ এর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০) কে আটক করে পুলিশ।

পাশাপাশি চোরাই স্বর্ণ ক্রয়ের সাথে জড়িত কিশোরগঞ্জ জেলার সবি রঞ্জন নিশি ও মানিকগঞ্জের মিঠুন কর্মকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডাকাতির ৫ ভরি স্বর্ণ ও মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ।

এর ৩ মাস আগে মুন্সিগঞ্জ সদরের রামপালের মিল্কিপাড়া এলাকায় গত ২৯ জুন রাতে পুলিশ পরিচয় দিয়ে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী পলাশ বাড়ৈর কাছ থেকে ১০ ভরি স্বর্ণ ও ৩ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী। এই ঘটনায় ডাকাতির ৪ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

ভিটিহোগলা কান্দি এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় আটক খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ আলী ও আনোয়ার হোসেন রামপালের ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেন। পরে তাদের কথা অনুযায়ী আরেক অভিযুক্ত জুবায়ের আলম ওরফে মহসিন মোল্লাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় স্বর্ণ চোরাকারবারি নিরঞ্জন হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আরও জানান, চলতি মাসের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোডের কেয়টখালী এলাকায় একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেসময় ডাকাত সদস্য আব্দুল আলীমের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ। সে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার আ. সালাম হাওলাদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৪ টি ডাকাতির মামলা ছিলো।

পরে এই ঘটনায় শ্রীনগর থানার দুর্ধর্ষ ডাকাত কালাম বেপারি ওরফে কসাই কালামকে কেরানীগঞ্জ থেকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাডামাড়া এলাকার সায়েদ হাওলাদারের ছেলে মো. রফিক ও ঝালকাঠি জেলার সুগন্ধিয়া এলাকার আলী আহম্মেদের ছেলে মো. রাকিবুল ইসলাম বাবু নামে দুইজনকে আটক করা হয়।

ডাকাতদের হেফাজত থেকে একটি ছোরা, দুইটি মোবাইল ও নগদ ২৫০০ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।

error: দুঃখিত!