মুন্সিগঞ্জ, ৬ মে, ২০২১, সদর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ শহরের উত্তর ইসলামপুরে দুই কিশোর গ্যাং গ্রুপের দ্বন্দে ট্রিপল মার্ডার মামলার আসামী রাকিবুল হাসান সৌরভ (২০) কে গ্রেপ্তার করেছে মুন্সিগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, সৌরভ কে আজ বৃহস্পতিবার (৬ মে) মুন্সিগঞ্জ এবং চাঁদপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা বাংলাবাজার এর বানিয়াল মহেশপুর থেকে আটক করা হয়। সে আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলার এজাহারনামীয় দুই নম্বর আসামি। এর আগে এই মামলার আরও তিন আসামী, মুনতাসিম ওরফে অভি (২০), রোকন উদ দৌলা রাফসান রাফি (২০) ও তানভীর মোল্লা রামিম( ১৯) কে ঢাকা, ফরিদপুর ও শরীয়তপুর থেকে আটক করেছিলো ডিবি।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ওসি মোজাম্মেল হক জানান, ভোররাতে তাকে আটকের পর সে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করে। এরপর তাকে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে সে স্বেচ্ছায় নিজের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
(ডিবি) ওসি দাবি করেন, এই মামলার অন্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ (বুধবার) বিকালে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ইসলামপুর এলাকায় দুই কিশোর গ্যাং গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সেখানে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। সমস্যার সমাধান করতে সেদিন রাত ১০ টার দিকে দুই পক্ষকে নিয়ে সালিসে বসা হয়। সেখানে সৌরভ,সিহাব,শামীম পক্ষের ছুরিকাঘাতে প্রাণ যায় অপর পক্ষের মো. ইমন হোসেন (২২), মো. সাকিব হোসেন (১৯) ও মিন্টু প্রধান (৪০)। এ দুই পক্ষের সবার বাড়ি উত্তর ইসলামপুর এলাকায়।
নিহত মিন্টু প্রধানের স্ত্রী খালেদা আক্তার বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন ২৫ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টার পর একটি হত্যা মামলা করে। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০-১৫ জনকে আসামী করা হয়। সে মামলার এজহার নামীয় জামাল হোসেন (৫২), মো.জাহাঙ্গীর হোসেন (৫০), মো.রনি (৩২), মো.ইমরান হোসেন (২০), রাহুল প্রধান (২২) এবং সন্দেহভাজন হিসবে জামালের স্ত্রী নাসরিন বেগম (৪০) কে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর একে একে আটক হয় আরও ৪ জন।