মুন্সিগঞ্জ, ২৭ মার্চ, ২০২১, সদর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকায় দুই কিশোর গ্যাং গ্রুপের দ্বন্দে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় ২৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সৌরভের বাবা মো. জামাল হোসেন, তাঁর স্ত্রী নাসরিন বেগম, মো.জাহাঙ্গীর হোসেন, মো.রনি, মো.ইমরান হোসেন ও রাহুল প্রধান।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব খান জানান, নিহত মিন্টু প্রধানের স্ত্রী খালেদা আক্তার বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মামলাটি করেন। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এজহারনামীয় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
এর আগে গত বুধবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় সালিশ বৈঠকে সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত তিন যুবক নিহত হয়। নিহতরা হলেন, সদর থানাধীন মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ইসলামপুরের কাসেম পাঠানের পুত্র ইমন পাঠান (২৩), বাচ্চু মিয়ার পুত্র সাকিব মিয়া (১৯) ও সদ্য সমাপ্ত মুন্সিগঞ্জ পৌর নির্বাচনের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী আওলাদ হোসেন মিন্টু (৪০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করা নিয়ে একে অপরকে দায়ী করে ইমন পাঠান একই এলাকার সৌরভকে চর থাপ্পর মারে। পরবর্তীতে ইমন পাঠান গ্রুপের বড় ভাই মিন্টু পূনরায় সৌরভকে ডেকে নিয়ে মারধর করে। বুধবার রাত ৯টার দিকে উক্ত ঘটনায় ইসলামপুরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে এই নিয়ে শালিসী বৈঠকে আপোষ-নিস্পত্তিতে বসে রাত সাড়ে ১১ টায়।
আওলাদ হোসেন মিন্টুর বাড়ির সামনে জামালের দোকানের প্রাঙ্গণে সালিশ বৈঠকটি হয়। বেঠকে শেষ পর্যায়ে সৌরভ গ্রুপের লোকজন আকস্মিক ইমন, সাকিব ও মিন্টু তিনজনকে ছুরিকাঘাত করে। তারা তাৎক্ষনিক রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাদের উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে সাকিব মিয়া মৃত্যু বরন করে। আর গুরুতর আহত ইমন ও মিন্টুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নেওয়ার পথে রাস্তায় ইমন মৃত্যু বরন করে। শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টায় আওলাদ হোসেন মিন্টু মৃত্যুবরন করে।