মুন্সিগঞ্জ, ১৪ অক্টোবর, ২০২০, সদর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে টাকার বিনিময়ে মাদকের আসামীকে পলাতক দেখিয়ে মামলা দায়ের ও তথ্য গোপন করে জব্দকৃত টাকা আত্মসাৎয়ের অভিযোগ উঠেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার হাটলক্ষীগঞ্জ বেরিবাঁধ এলাকার শেষ মাথায় ফাতেমা খাতুন (৫৫) নামের এক মহিলার বাসায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক জয়নুল আবেদীনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে আসামী ফাতেমা খাতুন (৫৫) কে আটক করে ৮০০ গ্রাম গাঁজা ও মাদক বিক্রির নগদ ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা জব্দ করে।
কিন্তু মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় মামলা (মামলা নং-৬৩/১৩.১০.২০২০ইং) দায়ের করা হয় আসামী ফাতেমা খাতুন (৫৫) কে পলাতক দেখিয়ে। মামলায় দেখানো হয় মাত্র ২০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।
ফাতেমা খাতুন এর মেয়ে কলেজ ছাত্রী পিংকি আক্তার (১৮) ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, ‘আমি টিউশনি করি সেলাই মেশিন চালাই। জয়নুল আবেদীন আমাকে বলে তোমার মায়ের কাছে গাঁজা পাইছি, উনার নামে মামলা দিবো। এ কথা বলে আমার জমানো ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এরপর সবাইকে ঘড় থেকে বের করে দিয়ে সে আমাকে বলে টাকাগুলো সরকারি জব্দ তালিকায় জমা হবে। পরে টাকা ফেরৎ পাওয়া যাবে। তবে কবে পাবে তার কোন গ্যারান্টি নাই। এসব কথা বলে তিনি ৬০ হাজার টাকা নিয়ে ৫০ হাজার টাকা আমাকে ফেরৎ দেন।
পিংকি আরও বলেন, এর কিছুক্ষণ পর জয়নুল আবেদীন জানায় বাকি ৫০ হাজার টাকা দিলে আমার মায়ের নামে কোন মামলাই করবেন না। এরপর আমি বাকি ৫০ হাজার টাকাও জয়নুল আবেদীন কে দেই।
পিংকি বলেন, ‘টাকা গেলো ১ লাখ ১০ হাজার। সকালে শুনি মামলাও দেয়া হয়েছে। আর ওদিকে মামলায় দেখানো হয়েছে ২০ হাজার।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক জয়নুল আবেদীন কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
জয়নুল আবেদীন ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, ‘আমি দাড়ি রাখি। আমার সাথে দেখা করেন সব খুলে বলবো। আর উনি কি আমার নামেই অভিযোগ করেছেন? মোবাইলে তো সব কথা বলা যায় না, আবার সামনাসামনি না হওয়াতে আসল ব্যাপারটা খুলেও বলা যায় না।’