১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
মঙ্গলবার | বিকাল ৪:১৩
মুন্সিগঞ্জে টাকার জন্য আপন ভাগ্নেকে খুন করে অটোরিকশা বেঁচে দেন মামা
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৪ অক্টোবর ২০২৩, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে টাকার সংকটে পড়ে আপন ভাগ্নেকে গলায় রশি পেচিঁয়ে শ্বাসরোধে খুন করে অটোরিকশা ছিনতাই করে বিক্রি করে দিয়েছেন মামা। এ ঘটনায় মোবাইল কলের সূত্র ধরে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তিনি।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, গেল সোমবার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসকান্দি এলাকা থেকে পানিতে ভাসমান অবস্থায় অটোচালক নেকবর হোসেনের (২২) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার চর গুলগুলিয়া এলাকার মৃত শাহজাহান মিয়ার পুত্র। কোরআনে হাফেজ ছিলো নিহত নেকবর। পরে মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে দাফন-কাফন সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. তোফাজ্জেল হোসেন সিরাজদিখান থানায় অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ জানায়, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত নেকবরের আপন মামা চর গুলগুলিয়া এলাকার মৃত আরাফাত আলীর পুত্র মো. জাবেদ (৩৭) ও তার ভাষ্য অনুযায়ী ঘটনায় সহযোগী হিসেবে একই এলাকার ভাড়াটিয়া ও যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কাঠালতলী এলাকার মো. আলী আকবরের পুত্র মো. রেজাউলকে (২৭) গুলগুলিয়া এলাকা থেকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রশির সন্ধান মেলে।

পরে পুলিশের কাছে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিহত নেকবরের মামা মো. জাবেদ জানান, তিনি পেশায় অটো-মিশুকের মিস্ত্রী ও অপর আসামি রেজাউল চালক এবং এই সূত্রে আসামীদ্বয়ের মধ্যে সু-সম্পর্ক রয়েছে। নগদ অর্থের প্রয়োজনে দুজনে মিলে পরিকল্পিতভাবে নিহত নেকবরকে হত্যা করে তার ব্যবহৃত অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিয়ে সিরাজদিখানের কৃষ্ণনগর এলাকার মৃত নুর ইসলামের পুত্র মো. শাহাজালালের (২৭) কাছে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। মামলায় তাকেও আসামি হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশ আরও জানায়, ছিনতাইকৃত অটোচালকের ক্রেতা শাহজালালের দেয়া তথ্যমতে নারায়নগঞ্জ জেলার ডিগ্রীরচর এলাকা হতে ছিনতাইকৃত অটোর বিচ্ছিন্ন বেশ কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়।

সিরাজদিখান থানার ওসি মুজাহিদুল ইসলাম জানান, আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

error: দুঃখিত!