মুন্সিগঞ্জ, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে হাউজিং ব্যবসা নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ‘মধ্যযুগীয় কায়দায়’ প্রতিপক্ষ ও তার সমর্থকদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় টেটা-বল্লম নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করার চেষ্টা করলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ জানায়, আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬ টা’র দিকে উপজেলার বালুরচর ইউনিয়নের খাসকান্দি বেগম বাজার এলাকায় নবধারা হাউজিং প্রকল্পের স্বত্ত্বাধিকারি আল ইসলাম এর বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও তার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা করে প্রতিপক্ষ কামিজুদ্দিন কামু ও সুমন মিয়ার সমর্থকরা। এসময় তারা খালেক মিয়া, জব্বার মিয়া, মো. শাহ আলী, দ্বীন ইসলামের বাড়িসহ ৫-৭টি বাড়ি ভাঙচুর করে। পরে টেটা-বল্লম নিয়ে এলাকায় অবস্থান নেয়।
জানা যায়, গেল ৬ ফেব্রুয়ারি হাউজিং ব্যবসা নিয়ে দক্ষিণা গ্রীণ সিটির সুমন ইসলাম ও নবধারা হাউজিং প্রকল্পের আল ইসলাম পক্ষের মধ্যে টেটাযুদ্ধ হয়। এতে এক পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়। ঐদিন সুমন ইসলামের মালিকানাধীন দক্ষিণা গ্রীণ সিটির অফিস কার্যালয় ও তার বসতবাড়ি ভেকু দিয়ে ভেঙে ফেলে আল ইসলাম ও তার সহযোগী বাতেন পক্ষের লোকজন। সেই ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার কামিজুদ্দিন কামুর নির্দেশে আল ইসলাম ও তার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা করে ভাঙচুর করা হয়।
হাউজিং ব্যবসায়ী আল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, হাউজিং ব্যবসায়ী কামিজুদ্দিন কামু আমার কাছে ২ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার জানালে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভোর সকালে বহিরাগতদের এনে তারা আমার বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে।
অভিযোগ অস্বীকার করে হাউজিং ব্যবসায়ী কামিজউদ্দিন কামু বলেন, গেল ৬ তারিখে হামলা-ভাঙচুরের জের ধরে লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আজ পাল্টা হামলা করে। চাঁদা দাবির অভিযোগ মিথ্যা।
সিরাজদিখান থানার ওসি মিজানুল হক জানান, ঘটনা শুনে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আধিপত্য বিস্তার ও পেশিশক্তির প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে নৃশংস ও মধ্যযুগীয় বর্বর কায়দায় একের পর এক ঘটনা ঘটছে। আজকের ঘটনায় এখনো থানায় অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।