মুন্সিগঞ্জ, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পিটিয়ে একজনকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. কালাচান সরদার (৪৮)। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি মারা যান।
এর আগে গতকাল বিকেলে কালাচানকে পিটিয়ে আহত করেন তাঁর প্রতিবেশীরা। তিনি উপজেলার উত্তর হলদিয়া এলাকার রশিদ সরদারের ছেলে।
কালাচান সরদারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজমুস সালেহীন। তিনি আজ বুধবার সকালে বলেন, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মারামারির ঘটনায় আহত অবস্থায় কালাচান সরদারকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর মাথায় আঘাতের গুরুতর জখম ছিল। রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। আর্থিক সমস্যা থাকায় তাঁরা নিয়ে যেতে পারেননি। রাত আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন বলেন, কালাচান সরদারের সঙ্গে তাঁদের প্রতিবেশী বাবু ও হিরুদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। গতকাল বিকেলে তার জেরে বাবু ও হিরু কালাচানদের বাড়িতে হামলা চালান। কালাচান বিষয়টি জানতে পেরে জমির কাগজপত্র নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বাড়িতে যান। ইউপি সদস্যকে না পেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। সে সময় বাড়ির পাশের রাস্তায় কাঠের চেলা দিয়ে বেদম পেটানো হয় তাঁকে। স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে পালিয়ে যান বাবু ও হিরু। মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাতে মারা যান কালাচান।
নিহত কালাচান সরদারের স্ত্রী ও চার মেয়ে আছে। বড় দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির মেয়ে সাদিয়া আক্তার বলেন, ‘আমার বাবা সহজ-সরল মানুষ ছিলেন। বাবার সম্পত্তি দখলের জন্য হিরু, বাবুরা চেষ্টা করছেন। বাবা তাঁর সম্পদ রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। সেই বিরোধের জেরে বাবাকে ইচ্ছেমতো পেটাল। আমাদের চোখের সামনে বাবাকে মারতে মারতে মেরেই ফেলল। আমরা বাবার হত্যার বিচার চাই।’
লৌহজং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল হাসান বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে বাবুর স্ত্রী মাবিয়া বেগমকে আটক করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।