মুন্সিগঞ্জ, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদরে গত ৪ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে আহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় হয়রানির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক সাবেক ইউপি সদস্য।
তার দাবি, ঘটনাস্থলে না থাকা সত্ত্বেও হয়রানির উদ্দেশ্যে স্থানীয় একটি মহলের যোগসাজশে মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
রোববার দুপুরে উত্তর কামারগাও এলাকার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ভাগ্যকুল ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল সামাদ।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার বাড়ি থেকে ঘটনাস্থল ৫০ কিলোমিটার দূরে। আমি কিডনি-হার্ট, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ নানাবিধ শারিরীক অসুস্থতায় জর্জরিত। মারামারি করার মত সক্ষমতা আমার নাই।
৪ বারের সাবেক এই ইউপি সদস্য বলেন, ৪ তারিখ মুন্সিগঞ্জ সদরে ছাত্র আন্দোলন চলাকালে যারা ন্যাক্কারজনক হামলা করেছে আমি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। কিন্তু আমাকে যারা মামলায় ফাঁসিয়েছে তাদেরও বিচার করতে হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আমি এ ঘটনায় জড়িত কি না তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করে দেখা হোক। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমি এই মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই চাই।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্যের পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের একদিন আগে ৪ আগস্ট মুন্সিগঞ্জ জেলা শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা করে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। ওইদিন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ৪ জন। আহত হন অসংখ্য আন্দোলনকারী। ঘটনার ৪ মাস পর ৯ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় আব্দুল্লাহ আল নোমান নামের এক ব্যক্তি তার ফুফাতো ভাই শাহাদাৎ হোসাইনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১১৭ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত আরও ১৫০-২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় ১১১ নাম্বার আসামি করা হয় শ্রীনগর থানার সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল সামাদকে।