১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সোমবার | সকাল ১১:০১
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
মুন্সিগঞ্জে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক আটক
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৩ মার্চ, ২০২৩, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে ৭ বছরের মাদ্রাসা ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার লস্করপুর থেকে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়। এর আগে ওই মাদ্রাসায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হামলায় নেতৃত্বে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, লস্করপুর হোসাইনিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার কিন্ডারগার্টেন বিভাগের এক শিশু শিক্ষার্থীকে ৩ দিন আগে যৌন হয়রানী করেন শিক্ষক মোহাম্মদ আলী (২৭)। তিনি জয়দেবপুরের সালনা এলাকার খোকা মিয়ার পুত্র।

শিশুটির অভিভাবকরা বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি হাঁসাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হারুন অর রশিদের কাছে জানান। তিনি বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে লোকজন নিয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষক মোহাম্মদ আলীর খোঁজ করেন। এর সাথে সাথে প্রায় ২ থেকে ৩শ উত্তেজিত জনতা মাদ্রাসায় ভাঙচুর শুরু করে এবং শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে ধরে মারধর করে। উপায় না দেখে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ ৯৯৯ এ ফোন করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এই বিষয়ে যৌনহয়রানীর অভিযোগে শিশুটির অভিভাবক শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ বলেন, শিক্ষক অপরাধী হলে তার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে বিচার হবে তাতে আমার দ্বিমত নেই। ৩ দিন আগের ঘটনা কিন্তু প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসাবে আমার কাছে কেউ কিছু বলেনি। সকালে কিছু বুঝে উঠার আগেই ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ সহ বহু লোক এসে মাদ্রাসায় ভাঙচুর করে ও শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে মারধর করে।

হাঁসাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, বিষয়টি জানার পর মাদ্রাসায় গিয়ে তা মিমাংসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পরিস্থিতি আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। যৌনহয়রানীর ঘটনা মিমাংসা করা যায় কিনা? এমন প্রশ্নে তিনি কোন উত্তর দেন নি।

শ্রীনগর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে আটক করেছে। শিশুটির পরিবারের কাছ থেকে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

error: দুঃখিত!