মুন্সিগঞ্জ, ২৫ জানুয়ারি, ২০২২, সদর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে ফেরার পথে পথিমধ্যে ব্যাপক মারধর ও জখমের শিকার হয়ে আহত হয়েছেন ৫ যুবক।
একইসময় এক নারী তার স্বামীর সাথে ঘুরতে বের হয়ে ঐ যুবকদের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
হামলায় আহতদের মধ্যে একজন স্থানীয় ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি হচ্ছেন, মুন্সিগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত রহমান সিফাত সরকার (২৪)। তার শরীরে মারাত্মক জখম ও পিটুনির একাধিক চিন্হ রয়েছে বলে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত বাকি ৪ জন তারই বন্ধু। তারা হলেন, মো. রিফাত (২২), শাওন (২৩), নাঈম হাসান (২৩) ও মুন্না (২৪)।
হামলায় আহত সিফাত সরকার দাবি করেন, কোন নারীকে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেনি।
গতকাল সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের বকুলতলা এলাকায় ব্রিজের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৪ টা’র দিকে ঐ নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে তার স্বামীর দাবি।
আধারা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সুরুজ মিয়া জানান, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা’র দিকে খবর পেয়ে লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি ৬-৭ জন যুবক গুরুতর মারধর ও জখমের শিকার হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, ঘটনার পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে আজ দুপুর পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় কোন পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে Rav4 মডেলের একটি গাড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, এটি হামলাকারীদের ব্যবহৃত হতে পারে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যৌন হয়রানির শিকার গৃহবধূ (৩৬) জানান, আমরা ঢাকায় থাকি। গত বৃহস্পতিবার মুন্সিগঞ্জে এসেছি। গতকাল স্বামী সহ ঘুরতে বের হয়েছিলাম। পথিমধ্যে কয়েকজন যুবক আমাদের গাড়ি উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করে। আমার স্বামী প্রতিবাদ করলে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় তারা আমার স্বামীকে মারধর করে। আমাকেও টানা-হেঁচড়া করে। তারা আমার হাতে থাকা ডায়মন্ডের আংটি ছিনিয়ে নেয়। শুনেছি পরবর্তীতে তারা মারধরের শিকার হয়েছে। তাদের উপর কারা হামলা করেছে সে বিষয়টি আমার জানা নেই।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী (৪২) জানান, বিকাল সাড়ে ৪টা’র দিকে ৬-৭ জন যুবক আমার স্ত্রী কে উদ্দেশ্য করে অপমানসূচক কথাবার্তা বলে। এসময় প্রতিবাদ করলে তারা লোহার রড দিয়ে আমাকে পিটায়।
হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে ফোন করলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।