মুন্সিগঞ্জ ২০ নভেম্বর, ২০১৯ আরিফ হোসেন (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে হতদরিদ্রদের মধ্যে বিতরণের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ১০ টাকা কেজি দরের ২৪০ বস্তা চাল কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) সকালে উপজেলার বাঘড়া বাজারে চাল বিতরণের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলারের প্রতিষ্ঠানে সরেজমিন গেলে এই দুর্নীতির চিত্র দেখা যায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন তার স্ত্রী আরজু বেগমের নামে ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণের ডিলারশিপ নিয়ে গত বুধবার উপজেলা খাদ্য অফিস থেকে ৫৪০ বস্তা চাল উত্তোলনের আদেশ নিয়ে ৩০০ বস্তা চাল উত্তোলন করেন। বাকি ২৪০ বস্তা চাল খাদ্যগুদামে রেখেই কাগজে কলমে উত্তোলন দেখিয়ে সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করে দেন।
মঙ্গলবার সরেজমিন দেলোয়ার মেম্বারের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায় সেখানে ৩৫০ বস্তা চাল রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৫০ বস্তা আগেই উত্তোলন করা হয়েছিল। ওই দিন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত দেলোয়ার মেম্বারের প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করে দেখা যায় উপকারভোগীদের কাছে চাল বিক্রির কথা থাকলেও সেখানে ৫৪০ জনের মধ্যে মাত্র ৯ জন উপকারভোগী এসেছেন। বাকিরা চাল বিতরণের খবর জানেনই না।
চাল বিতরণের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার উপজেলা কৃষি উপ সহকারী কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদ আলম জানান, ৩০ অক্টোবরের পরে চাল উত্তোলন ও বিতরনের বিষয়টি ডিলার তাকে জানায়নি বিধায় তিনি এই বিষয়ে কিছুই বলতে পারবেননা।
স্থানীয়রা জানান, দেলোয়ার মেম্বার বেশ কয়েক বছর ধরেই এই অনিয়ম করে আসছে। উপকারভোগী ৫৪০ জনের নামের যে তালিকা রয়েছে তার বেশীর ভাগই ভূয়া।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মনির হোসেন বলেন, গুদামে চাল রেখে কাগজে কলমে কেনা-বেচার সুযোগ নেই। তবে এমন কিছু হয়ে থাকলে খোজ নিয়ে দেখা হবে।
বাঘড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, চাল বিতরণের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে ডিলারের। তবে দেলোয়ার মেম্বার তার স্ত্রীর নামে ডিলারশিপ নিয়ে অনিয়ম করে থাকলে এই বিষয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার বলেন, এটা শস্তিযোগ্য অপরাধ। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।