৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
সোমবার | ভোর ৫:২১
মুন্সিগঞ্জে কোর্টের ভেতরে পুলিশের সামনে হত্যা মামলার আসামীদের হাতে আ.লীগ নেতা জখম
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, বিশেষ প্রতিনিধি, (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জে এজলাসের বাহিরে হাতকড়া পড়া অবস্থায় শুনানী শেষে বাদী পক্ষের উপর হামলা করে আসামী পক্ষ। এতে এক আওয়ামী লীগ নেতা জখম হয়।

জানা যায়, ১০৯ নং আদালত কক্ষ থেকে ২টি হত্যা মামলার আসামী শুনানী ও হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার পর জামিন না দেওয়ায় এই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাদী পক্ষ।

পুলিশের উপস্থিতিতেই এই হামলা ঘটে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার সময় আদালত পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার বেতকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও টংগীবাড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব মোঃ শওকত আলী খান।

খোজ নিয়ে জানা যায়, শাহ আলম খান ও আলী হোসেন বাবু হত্যা মামলার আসামী রাসেল মোল্লা (২৮), সোহেল মোল্লা (৩৫), নাছিম মোল্লা (৩৮) ও তাদের মা নয়ন তারা (৬০) মিলে আদালত চত্বরের বারান্দায় হামলা করেন।

হামলার শিকার বেতকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও টংগীবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব মোঃ শওকত আলী খান হামলায় রক্তাক্ত জখম হয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।  

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেতকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও টংগীবাড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব মোঃ শওকত আলী খান কে কুন্ডের বাজার কান্দাপারা জোড়া খুনের আসামি সোহেল মোল্লা, রাসেল মোল্লা, নাছিম মোল্লা, মা নয়ন তারা মুন্সিগঞ্জের আদালত চত্বরের ১০৯ নং কক্ষের বাহিরে পুলিশের উপস্থিতিতে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা করে। প্রথমে হাতকড়া দিয়ে দুই ভাই চেয়ারম্যানের গলা পেচিয়ে ধরে। পরে মা নয়ন তারাও ঝাপটে ধরলে সোহেল মোল্লা কিল ঘুষি মেরে নাক ও শরীরের বিভিন্ন অংশ ফাটিয়ে দেয়।

৯ সেপ্টেম্বর ১৭ ইং সালে শাহ আলম খান ও আলী হোসেন বাবুকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হত্যা করে উপরোক্ত আসামীদ্বয়গণ। মামলা আদালতে বিচারাধীন।

এ বিষয়ে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হেদায়াত উল্লাহ ভুইয়া তার ব্যাক্তিগত রিসিভ করেননি।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, থানায় মামলা করার জন্য বলে দিয়েছি। মামলা করার পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।      

error: দুঃখিত!