মুন্সিগঞ্জ, ২৬ জানুয়ারি, ২০২২, প্রধান প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জে নানা বিরোধের জের ধরে গত বছরের জুনে ‘কিশোর গ্যাং’ লিডার আবিদ হাসান শোভন ও তার সহযোগী ছাত্রলীগ নেতা প্রান্ত শেখের হাতে চাঞ্চল্যকর ও নৃশংসভাবে খুনের ঘটনার প্রায় ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও মূল আসামীরা এখনো রয়েছেন ধরাছোয়ার বাইরে।
এতদিনেও তারা আটক না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুন্সিগঞ্জের সচেতন মহল। এ বিষয়ে সুশীল সমাজের কয়েকজনের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, এইরুপ দৃষ্টান্ত আইনের শাসনের প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ্বাস কমিয়ে দেয়। তাদের মতে, এসব ঘটনায় মূল আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা উচিৎ। তানাহলে এরকম ঘটনা বাড়তে পারে। তারা বলছেন, আমরা পুলিশ-প্রশাসনের উপর থেকে আস্থা হারাতে চাই না।
আরও পড়তে পারেন: মুন্সিগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা ও কিশোর গ্যাং লিডার কুপিয়ে মারলেন যুবককে
আরও পড়তে পারেন: রামপালে যুবক খুন: প্রান্ত-শোভনের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবর
আরও পড়তে পারেন: রামপালে যুবক খুন: ঘটনাস্থলে আগে যায় শোভন, ফোন পেয়ে যোগ দেয় প্রান্ত
আরও পড়তে পারেন: রামপালে যুবক খুন: ছাত্রলীগের বড় নেতা হওয়ার স্বপ্ন ছিলো শোভনের
আরও পড়তে পারেন: রামপালে যুবক খুন: ছাত্রদল থেকে ছাত্রলীগে, ছাত্রত্ব নেই, তবুও ছাত্রলীগের পদ পায় প্রান্ত
গত বছরের ১০ জুন তারিখে মুন্সিগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের কাজীকসবা এলাকার মৃত বাতেন মিজির ছেলে নয়ন মিজি (৩৩) কে মা, স্ত্রী ও শিশু মেয়ের সামনে কুপিয়ে হত্যা করে কিশোর গ্যাং লিডার ও রামপাল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত শেখ ও কথিত ছাত্রলীগ নেতা শোভন তালুকদার সহ তাদের সহযোগীরা।
এ ঘটনায় নিহতের মা রাশিদা বেগম বাদি হয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পরে চলে যায় ডিবিতে। ডিবি ঘটনার পরপর ৪ জনকে আটক করে। তবে এ ঘটনায় মুল অভিযুক্ত মামলার ১ নং আসামি ছাত্রলীগ নেতা প্রান্ত শেখ ও ৩ নং আসামি কিশোর গ্যাং লিডার শোভন তালুকদার ঘটনার ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো অধরা।
নয়ন মিজি হত্যাকান্ড মামলার বাদি নয়নের মা রাশিদা বেগম বলেন, এই হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছেই শোভন ও প্রান্ত। অথচ পুলিশ তাদের ৭ মাসেও ধরতে পারলোনা। আমি চাই পুলিশ তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করুক। আর না হয় তাদের ধরে ক্রসফায়ার দিক। আর কোন মায়ের বুক যাতে এদের মত নরপিশাচদের কারনে খালি না হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্সিগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ওসি আবুল কালাম আজান জানান, এই মামলায় তদন্তে জড়িত না থাকায় গত মাসে এজাহার থেকে চঞ্চল নামে এক আসামীকে বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। মূল আসামী শোভন ও প্রান্তকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে। তারা পলাতক রয়েছেন।