১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | দুপুর ১:৫১
মুন্সিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৬ মার্চ, ২০২৩, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা ও ফুলদী নদীতীরবর্তী ৪টি ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি ঘরবাড়ি শনিবার বিকালে ৩০ মিনিটের আকস্মিক ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ঝড়ের পর থেকে প্রায় ৪ ঘন্টা পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিলো।

স্থানীয়রা জানান, বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে আকস্মিক তীব্র কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এসময় মেঘনা নদীতীরবর্তী হোসেন্দি ইউনিয়নের নতুনচর ও রঘুরচর এলাকার ৫-৬টি, গুয়াগাছিয়া এলাকায় আনুমানিক ৩-৪টি ঘরবাড়ির টিনের চাল উড়ে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এছাড়াও ফুলদী নদী পার্শ্ববর্তী ইমামপুর ও গজারিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে এসব খবর পাওয়া গেছে। আরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থদের চিহ্নিত করে তাদের পুনর্বাসনে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

হোসেন্দী ইউনিয়নের রঘুরচর গ্রামের বাসিন্দা বাহাউদ্দিন মোল্লা জানান, গ্রামের পূর্ব পাড়ায় ৫-৬টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

গুয়াগাছিয়া এলাকার কৃষক খোরশেদ আলম জানান, তীব্র বাতাস আর শিলাবৃষ্টিতে আমার তিন বিঘা জমির ভুট্টা মাটিতে শুয়ে পড়েছে। ভুট্টা, ধান, আলু, সূর্যমুখী ফুল যারা চাষ করেছিলেন সবার একই অবস্থা। এতে অসংখ্য কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গজারিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম অভিলাষ চন্দ্র পাল জানান, বিকাল সোয়া ৫টা’র দিকে আকস্মিক ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। বেশ কিছু জায়গায় গাছপালা ভেঙে পড়লে আমাদের কর্মীরা অপসারণ করে। পরবর্তীতে ৪ ঘন্টার চেষ্টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।

error: দুঃখিত!