মুন্সিগঞ্জ, ২৭ আগস্ট, ২০২০, শিহাব আহমেদ (আমার বিক্রমপুর)
দিনের অন্য সময় সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চললেও মুন্সিগঞ্জে রাত ৮ টা’র পরে নাগরিকদের বাইরে থাকা ঠেকাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রায়শই অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন। তবে নাগরিকরা ঘরের বাইরে ঠিকই থাকছেন। শুধু তাদের প্রয়োজন মেটাতে পারছেন না।
আর জরিমানার ধকল সইতে না পেরে প্রশাসনের এমন আচরণকে নজিরবিহীন বলছেন ব্যবসায়ীরা।
মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট এলাকার কনফেকশনারী ব্যবসায়ী রুবেল ক্ষুদ্ধ হয়েই বলছেন, ‘করোনা কি শুধু মুন্সিগঞ্জ সদরে? অন্য উপজেলায় রাত ৮ টা’র পর এরকম কোন অভিযানও হয় না আর জরিমানাও হয় না। মুন্সিগঞ্জে করোনা কি রাত ৮ টা’র পরে ছড়ায়’?
এ বিষয়ে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের সাথে কথা বলেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।
তারা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি যাই-হোক এখন আর তারা কোন নিয়ম মানতে চান না। তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন এমনিতেই দুর্বিষহ হয়ে গেছে।
মুন্সিগঞ্জের জৈষ্ঠ আইনজীবি অ্যাডভোকেট আর্শেদ উদ্দিন চৌধুরী বলছেন, ‘করোনা কিন্তু মুন্সিগঞ্জ থেকে একেবারে চলে যায়নি। তাই গা-ছাড়া ভাব দেখানো যাবে না। তবে শুধু রাতে নয় দিনের বেলাতেও জনসমাগম বা ভিড় এড়াতে প্রশাসন মনিটরিং করতে পারে। তাহলে ঝুকি এড়ানো সম্ভব হবে।’
প্রশাসন বলছে, এই নিয়মটি শুধুমাত্র যে মুন্সিগঞ্জের জন্যই এটা ভুল ধারনা। সরকার সারা বাংলাদেশের জন্যই এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে প্রশাসনকে বলেছে, প্রশাসনের এখানে অতিরিক্তকরার কিছুই নেই।
এ প্রসঙ্গে মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায় বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসন করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জনসাধারণের কথা চিন্তা করেই শুধুমাত্র সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছে। এরপরও সরকার যদি সিদ্ধান্ত দেয় নতুন করে প্রশাসন সেটাই বাস্তবায়ন করবে।’
তিনি বলেন, ‘নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, তারা যাতে রাত ৮ টা’র মধ্যেই প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করেন।’
মুন্সিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা: আবুল কালাম আজাদ বলছেন, ‘দিনের বেলা সবকিছুই স্বাভাবিক চলে। রাতেও চলে। তবে রাতে এমনিতেই মানুষ বাইরে কম বের হয়। সেখানে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ খুব একটা ক্ষুন্ন হয় বলে মনে হয় না।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু সিদ্ধান্তটি সরকারের উপরমহলের তাই আমার মনে হয় খুব কাছাকাছি সময়ের মধ্যে সরকার নতুন সিদ্ধান্ত নিবে।’