মুন্সিগঞ্জ, ১০ মে ২০২৩, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদরের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার হলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক আচরণের অভিযোগ এনে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন রিকাবীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী।
আজ বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত আকারে এসব অভিযোগ করেন সদর উপজেলার রিকাবীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থী।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গতকাল মঙ্গলবার (৯ মে) এসএসসির গণিত বিষয়ের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা চলাকালে সদরের পঞ্চসার ইউনিয়নের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২ নং কক্ষে রিকাবীবাজার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থীর ১৫ মিনিট সময় নষ্ট করেন কক্ষটিতে দায়িত্বে থাকা শিক্ষক আবুল কাশেম ও ফারজানা।
রিকাবীবাজার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাফিজা অভিযোগ করে বলেন, গণিত বিষয়ের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র শিক্ষকরা না বিলি করে ছাত্রীদের দিয়ে বিলি করান। যার ফলে আমাদের ৬ জনের পাশাপাশি একই সেট পরে। এতে শিক্ষক আবুল কাশেম ও ফারজানা ম্যাডাম আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলে আমাদের ১৫ মিনিট সময় নষ্ট করেন। ফলে আমরা বাকি সময়ে সবগুলোর উত্তর দিতে পারিনি। সবগুলোর উত্তর দিতে পারলে আমরা ভালো ফলাফল করতে পারতাম। তাই আমাদের দাবি, যেহেতু শিক্ষকরা আমাদের সময় নষ্ট করেছে তার প্রভাব আমাদের ফলাফলে যাতে না পরে। আমাদের যাতে পূর্ণাঙ্গ নাম্বার দেয়া হয়।
আরেক শিক্ষার্থী অনিন্দিতা দত্তের মা লীজা রাণী নাহা একই ধরণের অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে পরীক্ষায় নকল করেনি, বা কোন দোষ করেনি। তারপরও তার পরীক্ষা ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ করে দিয়েছে ওই দুই শিক্ষক।
অভিযোগের বিষয়ে বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, এই ৬ জন শিক্ষার্থী পাশাপাশি বসে। প্রত্যেকের জন্য পৃথক সেটে পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও তাদের সকলের কাছে একই সেটের প্রশ্ন দেখে তারা কিভাবে মিল রেখে প্রশ্নপত্র পেলো সেটি জানতে চাইলে তারা জানেননা বলে জানায়। এরইমধ্যে তারা সকলেই উত্তরপত্রে সেট বৃত্ত ভরাট করে ফেলে। এসব দেখে আমি তাদের আর প্রশ্ন না করে পরীক্ষা চালিয়ে যেতে বলি। শিক্ষার্থীদের কোন সময় নষ্ট করা হয়নি। এক সেকেন্ডও তাদের নষ্ট হয়নি। তাদের অভিযোগ অসত্য ও ভিত্তিহীন।
এসব বিষয়ে অবস্থান জানতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।