২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সোমবার | রাত ৯:৪৫
মুন্সিগঞ্জে এইচএসসিতে পাসের হার ৮০.২৯, জিপিএ-৫ ৪৮৪
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, শিহাব আহমেদ (আমার বিক্রমপুর)

চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে গতকাল। মুন্সিগঞ্জ জেলায় এবার সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৮০ দশমিক ২৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৮৪ জন শিক্ষার্থী।

জেলায় সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৭৪১৩ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো। এর মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছে ১৪৬১জন।

অন্যদিকে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন আলীম পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ জন শিক্ষার্থী। জেলায় মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৩৪৭ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো। এর মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছে ২১জন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি কামরুল ইসলাম খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাধারণ বোর্ডে এগিয়ে লৌহজং, জিপিএ-৫ বেশি সদরে

সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি পরীক্ষায় ৬ উপজেলার মধ্যে মুন্সিগঞ্জ জেলায় ভালো ফলাফল করেছে লৌহজং উপজেলা। এখানে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২৯ জন শিক্ষার্থী। এই উপজেলা থেকে এবছর ৬২১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো। এর মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছে ৮জন।

অন্যদিকে মুন্সিগঞ্জ সদরে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। ২১৭টি জিপিএ-৫ পেয়ে জেলায় এগিয়ে রয়েছে সদর উপজেলা। এই উপজেলা থেকে এবছর ২৯৩৬ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো। এর মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছে ৫৯৬ জন শিক্ষার্থী।

গজারিয়ায় পাসের হার ৫১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ জন শিক্ষার্থী। এই উপজেলা থেকে এবছর ৫৭৭ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো। এর মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছে ২৭৭ জন শিক্ষার্থী।

টংগিবাড়ীতে পাসের হার ৭৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ জন শিক্ষার্থী। এই উপজেলা থেকে এবছর ৬৩৪ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো। এর মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছে ১৪৯ জন শিক্ষার্থী।

সিরাজদিখান উপজেলায় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩ জন শিক্ষার্থী। এই উপজেলা থেকে এবছর ৬৪৬ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো। এর মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছে ১৩৬ জন শিক্ষার্থী।

শ্রীনগর উপজেলায় পাসের হার ৮৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮০ জন শিক্ষার্থী। এই উপজেলা থেকে এবছর ১৯৯৯ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো। এর মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছে ২৯৫ জন শিক্ষার্থী।

মাদ্রাসা বোর্ডে গজারিয়ার চমক

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি আলীম পরীক্ষায় ৬ উপজেলার মধ্যে মুন্সিগঞ্জ জেলায় ভালো ফলাফল করেছে গজারিয়া উপজেলা। এখানে পাসের হার শতভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন শিক্ষার্থী।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি পরীক্ষায় মুন্সিগঞ্জ সদরে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৮১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন শিক্ষার্থী। এই উপজেলা থেকে এবছর ৯৭ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো। এর মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছে ৬ জন শিক্ষার্থী।

টংগিবাড়ীতে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন শিক্ষার্থী। এই উপজেলা থেকে এবছর ২৪ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো। এর মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছে ৩ জন শিক্ষার্থী।

লৌহজং উপজেলায় পাসের হার ৮৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন শিক্ষার্থী। এই উপজেলা থেকে এবছর ৩৯ জন শিক্ষার্থী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো। এর মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছে ৫ জন শিক্ষার্থী।

সিরাজদিখান উপজেলায় পাসের হার ৯৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন শিক্ষার্থী। এই উপজেলা থেকে এবছর ৫৫ জন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো। এর মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছে ৩ জন শিক্ষার্থী।

শ্রীনগর উপজেলায় পাসের হার ৮৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন শিক্ষার্থী। এই উপজেলা থেকে এবছর ৩৯ জন শিক্ষার্থী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো। এর মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছে ৪ জন শিক্ষার্থী।

error: দুঃখিত!