মুন্সিগঞ্জ, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদরের শীলই ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ মৃধার বিরুদ্ধে এক নারীকে তার বাড়ির কক্ষে আটকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান।
এ ঘটনায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারী রুমা বেগম।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ডিউটি অফিসার কাজল দাস রাত ৯টা’র দিকে অভিযোগের বিষয়টি ‘আমার বিক্রমপুর’ কে নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিলই ইউনিয়নের শিলই গ্রামের রুমা বেগমের মেয়ে লাবনী বেগম (২৩) এর সাথে আরেক অভিযুক্ত স্থানীয় ফরিদ বেপারীর ছেলে নাঈম হোসেন অপু (৩৫) এর সাথে বিয়ে হয়। তাদের আফরা মনি (৩) নামে একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই লাবনীর স্বামী নাঈম শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন এবং মারধর করতেন। বর্তমানে লাবনী বেগম ৫ মাসের অন্তসত্বা।
চলতি বছরের ২১ জুলাই সাংসারিক তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে নাঈম লাবনীকে অন্তসত্বা থাকাকালীন অবস্থায় মারধর করে এবং তাদের সন্তানকে রেখে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে নাঈম আরেকটি বিয়ে করে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী লাবনী।
পরবর্তীতে শিলই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ লাবনীকে মিমাংসার জন্য তার বাসায় যেতে বলেন।
ভুক্তভোগী লাবনীর অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যানের বাসায় গেলে কোর্ট থেকে মামলা তুলে ফেলা সহ গর্ভে থাকা ৫ মাসের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য হুমকি দেন ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ মৃধা। এবং তার মা রুমা বেগমকে তার রুমে আটকে মারধর করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শিলই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ মৃধা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি লাবণীকে বেত্রাঘাত করিনি, তাছাড়া তাকে গর্ভপাত করাতেও বলিনি। আর রুমা বেগমকে রুমে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগও সত্য নয়।