১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | রাত ৪:১৩
মুন্সিগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেলেন আরও দুই আ. লীগ নেতা
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের আরও দুই নেতা। এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দানের শেষ দিনে এই ৩ জনের বাইরে আর কোন প্রার্থী নেই।

তবে, ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হবেন। আর তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সাথে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দীতায় অংশ নেবেন।

গতকাল রোববার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পৃথকভাবে মনোনয়নপত্র জমা দেন ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী।

এরা হলেন- আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী আব্দুল ওয়াহিদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি মানিক মিয়া বাচ্চু মাঝি এবং সোনারং টংগিবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাহাত খান রুবেল।

তপশিল অনুযায়ী, আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১৬ মার্চ হবে ভোট।

এ বিষয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. রাহাত খান রুবেল বলেন, ‘আমি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নয়, জনগণের মনোনীত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রকৌশলী কাজী আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, নির্বাচিত হলে তাঁর প্রধান লক্ষ্য হবে টংগিবাড়ীকে সন্ত্রাস ও মাদক থেকে মুক্ত করা। একই সঙ্গে উপজেলা পরিষদকে জনসাধারণের জন্য সবসময় উন্মুক্ত করার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এ নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) পদ্ধতিতে। এ জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে উপজেলার ৮৪টি কেন্দ্র। এখন পর্যন্ত মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭৬ জন।

উল্লেখ্য, টংগিবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন জগলুল হাওলাদার ভুতু। গত বছরের ১৭ অক্টোবর বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মারা যান। এতে চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

error: দুঃখিত!