মুন্সিগঞ্জ, ১১ জুন ২০২৩, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদরের চরকেওয়ার ইউনিয়নের বিষা মিয়ার পুত্র প্রবাসী শাহ জালাল। সৌদিআরবের মদিনা শাখা যুবদলের সভাপতি তিনি। ছবি তোলা একটা নেশা শাহ জালালের।
তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ঘুরে দেখা গেছে- বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল থেকে শুরু করে বিএনপি-আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীর সাথে ছবি রয়েছে শাহ জালালের। তবে সম্প্রতি মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফয়সাল বিপ্লবের সাথে শাহ জালালের ছবি নিয়ে ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
শুধু তাই নয়- যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে নিরপরাধ দাবি, যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর ফাসির রায়ের বিরুদ্ধে নানা বিতর্কমূলক পোস্ট রয়েছে শাহ জালালের ফেসবুকে।
শনিবার মুন্সিগঞ্জ শহরের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টাব্যাপী বক্তৃতা করেন স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এক ডজনেরও বেশি নেতৃবৃন্দ। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমও প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
পুরো অনুষ্ঠানটি আমার বিক্রমপুরের ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সেখানে দেখা যায়- সম্মেলনের বিশেষ অতিথি মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস বক্তব্য রাখার সময় রহস্যজনকভাবে পেছনে এসে দাড়ান শাহ জালাল। এসময় সামনে থেকে কেউ একজন এমপি মৃণাল কান্তি দাসের সাথে ছবি তোলেন শাহ জালালের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনাটি নিয়ে তিনি বিব্রত বলে জানিয়ে সদস্য মৃণাল কান্তি দাস বলেন, আমি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাই। বিভিন্ন লোকজন গোচরে/অগোচরে ছবি তোলেন। একইভাবে শনিবার আমার নিজ এলাকায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বক্তৃতা করার সময় যুবদল নেতা শাহ জালাল আমার অগোচরে পেছনে দাড়িয়ে ছবি তুলে সটকে পড়েন।
সে কিভাবে আওয়ামী লীগের সম্মেলন মঞ্চে এলো- তার সাথে কাদের যোগাযোগ রয়েছে তা গোয়েন্দাসংস্থাগুলোর খতিয়ে দেখা উচিৎ বলে মনে করেন সংসদ সদস্য।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফসার উদ্দিন ভুইয়া বলেন, এত বড় সম্মেলন। অনেক লোকজনের সমাগম হয়েছে। কে কোন দিক থেকে মঞ্চে উঠেছে তা আমাদের পক্ষে খেয়াল রাখা সম্ভব নয়। এর মধ্যে যে যুবদল নেতার কথা বলছেন সে তো আর জাতীয় পর্যায়ের নেতা নয় যে তাকে সবাই চিনবে। তাছাড়া যেহেতু সে সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাসের পেছনে দাড়িয়ে ছবি তুলছিলেন তাই তার শুভাকাঙ্খী মনে করে কেউ তাকে বাঁধা দেয়নি।