মুন্সিগঞ্জ, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নের সোলারচর গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের গোলাগুলির সময় সাত মাসের শিশু ও মিশুকচালকসহ ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে আধারা ইউনিয়নের বকুলতলা-সোলারচর সড়কে আধারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ হোসেনের লোকজনের সাথে এলাকায় আধিপত্য ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে ইউনিয়নটির ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী হোসেনের লোকজনের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় উভয়পক্ষের গুলিবিনিময়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় থাকা ইউনিয়নের জাজিরা সৈয়দপুর গ্রামের বাবুল বেপারির কন্যা শিশু তাবাসসুম (৭ মাস), তার চাচা সৈয়দপুর গ্রামের সুফিয়ান বেপারির ছেলে মো. জুয়েল (২৭), সোলারচর গ্রামের দেলোয়ার মস্তানের ছেলে জয় মাস্তান (২০) ও মিশুক চালক জহিরুল ইসলাম (৩২) গুলিবিদ্ধ হন।
মিশুক চালক জহিরুল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেলেও বাকিদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ফেরদৌস হাসান জানান।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা আলী হোসেনের সমর্থক জয় মাস্তান গ্রাম থেকে বিতাড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন পর বুধবার সন্ধ্যার দিকে গ্রামে ফিরলে জয় মাস্তানকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ হোসেনের লোকজন। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। জেলা শহর থেকে মিশুকে চড়ে জুয়েল তার ভাতিজি শিশু তাবাসসুমকে নিয়ে সোলারচর গ্রামে ফিরছিলেন। এ সময় সংঘর্ষের মাঝখানে পড়লে চাচা জুয়েল, ভাতিজি শিশু তাবাসুম ও মিশুক চালক জহিরুল গুলিবিদ্ধ হয়।
৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী হোসেন বলেন, আমার সমর্থক জয় মাস্তান গ্রামে ফিরলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে গুলি করে ও কোপায়। পরে প্রতিপক্ষের লোকজনের গুলিবর্ষণে মিশুকে থাকা যাত্রী ও মিশুক চালক গুলিবিদ্ধ হয়।
আধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সুরুজ হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নাম্বারে কল করা হলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুই গ্রুপের কেউই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।