মুন্সিগঞ্জ, ৮ ডিসেম্বর, ২০২১, শিহাব আহমেদ (আমার বিক্রমপুর)
শক্তি হারানো ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ পরবর্তী নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় আলুর বীজতলা তলিয়ে গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, সরকারি ও বেসরকারি হিসাবে এতে কৃষকের প্রায় ১৫০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে।
তবে, যথাদ্রুত ক্ষেত থেকে পানি সরিয়ে যথাযথ পরিচর্যা করা গেলে ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা কমে আসবে বলে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। জেলা কৃষি বিভাগও ক্ষেত থেকে দ্রুত পানি সরানোর ব্যবস্থা নিতে কৃষকের প্রতি পরামর্শ জানিয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানিয়েছে, চলতি বছর জেলায় ৩৭ হাজার ৯’শ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি বৃষ্টির আগে ১৭ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে আলুর বীজ রোপণ করেছে কৃষক। এর মধ্যে গেলো কয়েকদিনের বৃষ্টির পানিতে জেলার ১৩ হাজার ৪৫০ হেক্টর আলুর বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এবার প্রতি হেক্টর জমিতে রোপণ করা হয় দুই টন করে বীজ। এরমধ্যে বিএডিসি ও বেশি উৎপাদন সক্ষম বিভিন্ন বাক্স আলু রয়েছে। বিএডিসির বীজ কেজি প্রতি ২২ থেকে ২৪ টাকা আর বাক্স আলু কেজি ১৬০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা খরচ পড়েছে। হেক্টর প্রতি আলুর বীজ রোপণে খরচ ধরা হয়েছে এক লাখ টাকা। এর মধ্যে জমিপ্রস্তুত, সার, শ্রমিক ও অন্যান্য খরচ রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক খুরশীদ আলম বলছেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে জরিপ করে নিরুপণ করা যাবে বৃষ্টিতে পানি জমার ফলে কৃষকের কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে সরকারি হিসাবে এর পরিমাণ ১৪০-১৪৫ কোটি হবে। বেসরকারি/কৃষকের হিসাবে তা আরও বেশি।
তিনি বলেন, কৃষকের প্রতি পরামর্শ থাকবে আক্রান্ত বীজ আলুর ক্ষেত থেকে অতিদ্রুত পানি বের করে দিতে হবে যাতে দাড়ানো পানি না থাকে এবং যে সকল ক্ষেতের আলু গাছ একটু বড় হয়ে গেছে সেখানে ছত্রাকনাশক স্প্রে করে দিতে হবে যাতে পচন রোধ করা যায়।
গত মৌসুমে জেলায় ৩৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হলেও আবাদ হয়েছিল ৩৮ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে।