২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শনিবার | সন্ধ্যা ৬:৩৬
মুন্সিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১০, বাড়ি-ঘর ভাঙচুর
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় হোসেন্দী ইউনিয়নে ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু ও সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুব হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহাবুব হোসেনসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে অন্তত ১৫ টি ঘরবাড়ি।

রোববার দুপুর আনুমানিক ১২ টা’র দিকে প্রথম দফায় ও দ্বিতীয় দফায় বিকাল ৩টা’র দিকে ইউনিয়নটির ভবানীপুর এলাকায় আনোয়ার জুট মিলের সামনে ও পরে হোসেন্দি এবং আশ্রাফদি গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে।

ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুর সমর্থকদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর। ছবিঃ সংগৃহীত।

পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহাবুব হোসেন অভিযোগ করে জানান, রোববার দুপুর ১২ টা’র দিকে হোসেন্দী ইউনিয়নের ভবানীপুর অধিনস্ত আনোয়ার গ্রুপ জুট মিল এলাকায় ঢাকা যাওয়ার পথে তার লোকজনের উপর হামলা করেন ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুর সমর্থকরা। এসময় তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহাবুব হোসেন। ছবিঃ সংগৃহীত।

ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু অভিযোগ করে বলেন, গজারিয়া থানার ওসির অদক্ষতা ও অদূরদর্শিতার কারনে এসব ঘটনা ঘটেছে। গতকাল তিনি ইসমানিরচর গ্রামে বরযাত্রীর মত করে বিএনপির লোকজনসহ নিয়ে গেছেন বাড়িতে তুলে দিতে। অথচ আমাকে জানাননি। আমি তাকে হোসেন্দিসহ দুই গ্রামের লোকজন একসাথে উঠাতে বলি। কিন্তু তিনি তা করেননি৷ জনপ্রতিনিধি ছাড়া এ কাজ করায় স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সকাল ৮টা’র দিকে মাহাবুব হোসেন সমর্থকরা ইসমানিরচর গ্রামে ছাত্রলীগ কর্মী মাসুদকে মারধর করে। এরপর পুরো ইউনিয়নে এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঐ মুহুর্তে মাহাবুব হোসেন যাচ্ছিলো। এসময় তার গায়ে উত্তেজিত জনতা হাত তোলে। এরপর মাহাবুব হোসেনের লোকজন হোসেন্দি ও আশ্রাফদি গ্রামে ঢুকে আমার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা করে। তখন ওসি সাহেব হোসেন্দি ব্রিজে দাড়িয়েছিলো। এই সুযোগে তারা ২-৩ ঘন্টাব্যাপী ভাঙচুর-লুটপাট চালায়। ওসি সাহেব যদি গায়ের জোরে সিদ্ধান্ত না নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সাথে সমন্বয় করে কাজটি করতেন তাহলে এসব ঘটনা ঘটতো না।

পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুব হোসেন জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অতর্কিতভাবে আমার গাড়ির গতিরোধ করে হামলা করে ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুর ভাতিজা ও বিএনপি নেতা মোমিনসহ অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। গাড়িতে থাকা আমার ভাতিজা ইমন মিয়া, ড্রাইভার শুভ ও আমার উপর হামলা চালায় তারা। এসময় গাড়ি ভাঙচুর করে তারা।

ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুর অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ অসত্য ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত’ উল্লেখ করে গজারিয়া থানার ওসি মোল্লা সোহেব আলী বলেন, পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুব হোসেনের উপর হামলার জের ধরে প্রতিপক্ষ মনিরুল হক মিঠুর সমর্থকরা হোসেন্দী গ্রামের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কোন পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

error: দুঃখিত!