১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | সকাল ৭:০৩
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে আলুর ভালো ফলনের পরও দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক!
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৮ মার্চ, ২০২১, জাহাঙ্গীর চমক (আমার বিক্রমপুর)

আলুর রাজধানী হিসেবে পরিচিত মুন্সিগঞ্জ জেলা। মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় আলু প্রথম ধাপে উত্তোলনের কাজ শুরু হয়েছে। বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে রোপনকৃত আলু ভালো দামে বিক্রির আশা নিয়ে আলু উত্তোলনের উৎসবে মেতেছেন এ উপজেলার কৃষকরা।

এ বছর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে ৯ হাজার ৩ শত ৫০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর ফলন ভালো হওয়া স্বত্বেও ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষক।

এছাড়া গত বছরের তুলনায় এবছর আলু উৎপাদনে তুলনামূলকভাবে খরচ বেশী হওয়ায় অনেক কৃষক লোকসানের কবলে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন।

কৃষকরা জানান, বীজ, সার, কীটনাশক ও শ্রমিক খরচসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ১ মন আলু উৎপাদনে খরচ পরেছে প্রায় ৬শত টাকা। সে হিসেবে প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয়েছে ১৫-১৬ টাকা। এছাড়া প্রতি বস্তা আলু বস্তাজাত করণ ও পরিবহনে আরো ২-৩ টাকা  খরচ রয়েছে কৃষকের। কিন্তু বর্তমান বাজারদর হিসেবে প্রতি মন আলুর দাম ৫শ থেকে ৫শ ৫০ টাকা বা এর চেয়ে কম। একারণে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত আলু ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে অনেকটাই চিন্তিত।

কুসুমপুর গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, আমি এবার ২ কানি জমিতে আলু বুনেছি। এতে আমার ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এবার জমিনের দাম, সারের দাম ও শ্রমিক খরচসহ অন্যান খরচ বেশী। তবে আলুর ফলন ভালো হলেও দাম কেমন পাই তা নিয়ে চিন্তায় আছি। ১ মন আলুর উৎপাদনে সব খরচ মিলিয়ে ক্ষেতেই খরচ হয়েছে ৬শ টাকা। আলু উঠাইতেছি কিন্তু এখনো পাইকার আসে নাই। যারাও আসছে তারা দাম কম বলে তাই আলু বেচি নাই।

সিরাজদিখান উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জানান, এ বছর সিরাজদিখানে ৯ হাজার ৩ শত ৫০ হেক্টর জমিতে আলু রোপন করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আলুর ভালো ফলন হবে বলে আমরা আশাবাদী। আমরা ভালো ফলনের জন্য উপজেলা কৃষকদের আমরা নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে এসেছি। অনেক কৃষক বলেছেন তাদের ফলন ভালো হয়েছে। আশা রাখি তারা দামও ভালো পাবেন।

error: দুঃখিত!