মুন্সিগঞ্জ, ৭ এপ্রিল, ২০২৪, সালাহউদ্দিন সালমান (আমার বিক্রমপুর)
ঈদকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের বালুচরে ব্যাপকভাবে মেহেদি চাষ হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এখানকার মেহেদী পাতা ঢাকাসহ দেশের অনেক জায়গার চাহিদা পূরণ করে।
মুন্সিগঞ্জে আগের তুলনায় মেহেদি চাষ কমলেও বাজারে এর চাহিদা ভালো। আর চাষ কমার পেছনে অবাধে জমি ভরাট করে আবাসন ব্যবসাকে দায়ী করেছেন চাষীরা।
‘এখনো পুরান ঢাকার মানুষ অপেক্ষায় থাকে এই বালুচরের মেহেদী হাতে লাগিয়ে ঈদ করতে’ এমন কথা জানালেন মেহেদি চাষি আব্দুল বারেক।
সিরাজদিখানের চান্দের চর এলাকায় ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে পনেরো রোজার পর থেকেই মেহেদি চাষের সাথে জড়িত ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যস্ততা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।
এই গ্রামে অন্যান্য শাকসবজি ও ফসলের মত বাড়ির আশপাশের খালি জায়গায় চাষ হচ্ছে মেহেদি।
জানা যায়, প্রতি বিঘা জমিতে রোপণকৃত মেহেদি বিক্রি করে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় হয়। এক বিঘা জমির মেহেদি বছরে ছয়বার বিক্রি করা যায়। তবে ঈদ এলে অন্যান্য দ্রব্যের সাথে মেহেদি বিক্রিও বেড়ে যায়।
চান্দের চর গ্রামের মেহেদি চাষী মো. দীন ইসলাম জানান, মেহেদী চাষে লোকসানের তেমন আশঙ্কা নেই। জমিতে এ গাছ একবার রোপণ করলে যুগের পর যুগ মরে না। শুধু সময়মত পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিচর্যা করলে গাছ বাঁচে যুগের পর যুগ।
মেহেদী বেপারী আ. বারেক জানান, আমরা আগে মাথায় করে মেহেদির পাতা পুরান ঢাকার অলিগলিতে খুচরা ফেরি করে বিক্রি করতাম। তবে এখন আর সেভাবে বিক্রি করা লাগেনা। এখন ঢাকার বাসাবো, খিলগাঁও, শান্তিনগর, মুগদা
সিরাজদিখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ শুভ্র জানান, সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দের চরে প্রায় একশ পরিবার মেহেদি চাষের সাথে জড়িত। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এসব চাষীদের কোন সরকারি অনুদান দেওয়া না হলেও মেহেদি চাষ সম্প্রসারণের জন্য চাষীদের নিয়মিত পরামর্শ সেবা দেয়া হয়।