মুন্সিগঞ্জ ১৭ নভেম্বর, ২০১৯, মহসিন রেজা (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের পুর্ব চান্দেরচর গ্রামে গত ৮ নভেম্বর জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমির আলী ওরফে মীর আলীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত মীর আলীর স্ত্রী। মামলা হওয়ার ৯দিনেও এজাহার নামীয় আসামীরা রহস্যজনক ভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
এদিকে গত ১৩ নভেম্বর ভূমি দস্যু সন্ত্রাসী কামিজুদ্দিন কামুর লোকজনের একের পর এক হুমকিতে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে মীর আলীর পরিবার। হত্যা মামলার আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের দিকে প্রশ্নের তীঁর ছুড়তে শুরু করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
অপরদিকে নিহত আমির আলী ওরফে মীর আলীর হত্যাকান্ডে জড়িতদের ফাসির দাবী জানিয়ে বিভিন্ন স্থানে ব্যানার ফেষ্টুন লাগিয়েছে ওই এলাকার লোকজন।
নিহত মীর আলীর ভাই মোঃ আজিজ বলেন, কামিজ উদ্দিন কামুর বাহীনিরা আমার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি তাদের ফাসি চাই। আর ওই কামু বাহীনির লোকজন আমার ভাইয়ের পরিবারকে হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেছে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনায় ভুগছি। দেশে কি আইন প্রশাসন বলতে কিছুই নেই।
এব্যাপারে সিরাজদিখান থানার ওসি মোঃ ফরিদ উদ্দিন জানান, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে মীর আলী নামে একজন নিহত হয়। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলার রুজু হয়েছে। আসামী ধরার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, পূর্ব চান্দের চর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সুরুজ আলীর ছেলে কামিজুদ্দিন কামু (৫৬), শহিদুল্লাহ (৪৫) ও মাদরের (৪৭) সঙ্গে একই গ্রামের ওসমান মোল্লার ছেলে মীর আলীর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
গত ৮ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে জমিজমা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কামুর লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে মীর আলীর পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে মীর আলী নিহত হয় আহত হয় তার ভাই মোঃ আজিজ ও বোন শাহিদা বেগম গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় সিরাজখিান থানায় ২০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত মীর আলীর স্ত্রী।