মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের বল্লাল বাড়ি এলাকায় সুবর্ণা (৬) নামে এক গৃহকর্মীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১২টার দিকে ওই এলাকার সিরাজ মিয়ার বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার সকালে থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের রুমে শিশুটির সাথে কথা হলে সে জানায়, তাকে গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী দুইজনই মারধর করতো। ক্ষত চিহ্ন দেখিয়ে সে বলে আম্মু (কল্পনা বেগম-গৃহকর্ত্রী) আমারে কামরাইছে।
সদর থানার ওসি মো. ইউনুচ আলী জানান, ওই শিশু গৃহকর্মী এখন সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। নির্যাতনকারী গৃহকর্ত্রী কল্পনা বেগমের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। শিশুটিকে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। শিশুর বাবাকে পাওয়া গেছে। আদালত শিশুটিকে কার হেফাজতে দিবে, এটা আদালতের ব্যাপার।
এলাকাবাসী জানান, মা ভারতী মারা যাওয়ার পর শিশু সুবর্ণাকে সিরাজ মিয়ার স্ত্রী কল্পনা বেগম পালক আনে। পরে ওই বাড়িতে সুবর্ণা সিরাজ মিয়ার বাড়ির গৃহকর্মী হয়ে উঠে।
এদিকে, দিনের পর দিন শিশু সুবর্ণাকে অমানুষিক নির্যাতন করে আসছে গৃহকত্রী কল্পনা বেগম। শিশুটির শরীরে আগুনের ছ্যাকা ও চোখে-মুখে মারধরের ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে।
বুধবার শিশু সুবর্ণাকে অমানুষিক নির্যাতন করার এক পর্যায়ে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। পরে পুলিশ শিশুটিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শৈবাল বসাক জানান, শিশু সুবর্ণাকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া দরকার। নয় তো বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
এ ব্যাপারে গৃহকর্ত্রী কল্পনা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েকে আমি মারবো-কাটবো। আপনাদের কি। হউক সুবর্ণা আমার পালক মেয়ে।’