১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | রাত ১০:৪২
মুন্সিগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, ভাঙ্গছে সড়ক, ব্রীজ-কার্লভাট
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১৯ জুলাই, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

উজান হতে নেমে আসা ঢলের পানিতে প্রতিনিয়ত মুন্সিগঞ্জের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পনির তীব্র স্রোতে অনেক রাস্তা, ব্রীজ কালভার্ট ধসে পরেছে। সেই সাথে বাড়ছে নদী ভাঙ্গনও। প্রতিদিন বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা।

মুন্সিগঞ্জ সদর, টংগিবাড়ী, লৌহজং ও শ্রীনগর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হচ্ছে। গত কয়েক দিনে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে এসব উপজেলায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। লৌহজং উপজেলার বেজগাঁও, গাঁওদিয়া, তেউটিয়া, কনকসার, মেদেনিমন্ডল প্লাবিত হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পদ্মা তীরবর্তী উত্তর ভুকৈলাস, দক্ষিন ভূকৈলাস, পূর্ব বাঘেরচর, আশুলিরচর, বানিয়াল মহেশপুর এবং শিলই ইউনিয়নের কাইজ্জারচর ও বেহেরচর গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব গ্রাম পদ্মা তীরবর্তী হওয়ায় বন্যা কবলিত হয়ে শত শত পরিবার এখন পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসেন পীর।

শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল, বাঘড়া, এবং টংগিবাড়ী উপজেলার হাসাইল, বানারী, গাড়ুরগাঁও, পাচনখোলা, নগর জোয়ার, আটিগাও, মান্দ্রা ও বিদগাও, কামারখাড়া ও দিঘিরপাড় ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী ২৫ টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন এবং বন্যার পানিতে বন্দি হয়ে দিশেহারা স্থানীয় বাসিন্দারা। সরেজমিনে বন্যা কবলিত বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে বানভাসি মানুষের করুন পরিস্থিতি দেখা গেছে। অনেক পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন খাদ্য সামগ্রী ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে রয়েছেন তারা।

বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে প্রবল স্রোতে ইতিমধ্যে টংগিবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গুনিয়া ও গাড়ুরগাঁও সড়কে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সেই সাথে উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়নের নশংকর এলাকার দুইটি ব্রিজের এপ্রোচ সংযোগ সড়কের মাটি ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। হাসাইল চরাঞ্চলে উদ্বোধনের আগেই কালভার্ট ধ্বসে গেছে।

এছাড়াও প্রবল স্রোতে ঝুঁকিতে রয়েছে ভাঙ্গুনিয়া সামাজিক কবরস্থাটিও।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে , জেলার মাওয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ৫৭ সেন্টিমিটার এবং ভাগ্যকূল পয়েন্টে বিপদ সীমার ৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পদ্মার পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, বানভাসি পরিবারের জন্য ৬৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া লৌহজং, শ্রীনগর ও টংগিবাড়ী উপজেলার ১৩টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুুত রাখা হয়েছে। তবে এখনও কোন বানভাসী পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে ওঠেনি। জেলায় ৬৫ মেট্রিক টন চাল, ৭শ’ জনের শুকনো খাবার, শিশু এবং গো-খাদ্যের জন্য ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

error: দুঃখিত!