মুন্সিগঞ্জ মুক্ত দিবস আজ (১১ ডিসেম্বর)। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদারমুক্ত হয় মুন্সিগঞ্জ জেলা। জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত মিছিলে মিছিলে হাজারো মানুষের ঢল নামে শহরে।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ সকালে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার হানাদার ক্যাম্পে অভিযান চালায় মুক্তিযোদ্ধারা। দেশকে মুক্ত করার প্রত্যয়ে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে জয় বাংলা স্লোগানেে উড়ায় মানচিত্রখচিত স্বাধীন বাংলার পতাকা।
৯ মে গজারিয়ায় ঘটে ইতিহাসের নির্মম হত্যাযজ্ঞ। রাতের আঁধারে পাকিস্তানী নৌবহর থামে গজারিয়া লঞ্চঘাটে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হত্যা করা হয় ৩৬০ জন নিরীহ লোককে। যুদ্ধের ৯ মাস জেলার বিভিন্ন স্থানে চলে ছোট-বড় হত্যাযজ্ঞ। লৌহজংয়ের গোয়ালী মান্দ্রায় সম্মুখযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পরাস্ত হয় পাক-হানাদাররা।
চূড়ান্ত বিজয়ের লক্ষ্যে ১১ ডিসেম্বর ভোর থেকে মুক্তিযোদ্ধারা মুন্সীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন দিক থেকে পাক হানাদারবাহিনীর সবচেয়ে বড় ক্যাম্প হরগঙ্গা কলেজ ছাত্রাবাসের দিকে এগোতে থাকে। ততক্ষণে বর্বর পাকিস্তানী হায়েনারা বুঝতে পারে তাদের সময় শেষ। দুপুরের আগেই ক্যাম্পের সব দিক ঘিরে ফেলে মুক্তিযোদ্ধারা। কোনো কূল-কিনারা খুঁজে না পেয়ে পাক হানাদারবাহিনী আত্মসমর্পণ করে। শক্রমুক্ত হয় নদীবিধৌত মুন্সিগঞ্জ।
দিনটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জেলা প্রমাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।