২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | রাত ১২:৩৯
মুন্সিগঞ্জের কৃতিসন্তান অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জন্মদিন আজ
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৩ জুন ২০২৩, আমার বিক্রমপুর ডেস্ক (আমার বিক্রমপুর)

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে বলা হয় জাতির চিন্তার বাতিঘর। একাধারে তিনি প্রাবন্ধিক, শিক্ষাবিদ, গবেষক, সমাজতান্ত্রিক চিন্তাবিদ।

শিক্ষা-সংস্কৃতি, বাকস্বাধীনতা, মানবাধিকার পরিবেশ সুরক্ষা, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সামাজিক ন্যায়বিচার আন্দোলনেরও পুরোধা তিনি। ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তার ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে সবসময় ভাস্বর।

দেশবরেণ্য এই প্রাবন্ধিক লেখক ও বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীর ৮৮তম জন্মদিন আজ।

১৯৩৬ সালের ২৩ জুন মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালিতে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জন্ম। বাবা হাফিজ উদ্দিন চৌধুরী ও মা আসিয়া খাতুন। তার শৈশব কেটেছে রাজশাহীতে ও কলকাতায় বাবার চাকরি সূত্রে।

ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ১৯৫০ সালে ঢাকার সেন্ট গ্রেগোরিস হাই স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করে ভর্তি হন নটরডেম কলেজে। সেখান থেকে ইন্টারমিডিয়েটে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে। ১৯৫৬ সালে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

এরপর নিজ এলাকা মুন্সিগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজে শিক্ষকতায় নিয়োজিত হন। এসময় জগন্নাথ কলেজেও খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন এ শিক্ষাবিদ। পরের বছর ১৯৫৭ সালে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে। পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যের লিডস ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট এবং লেজিস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকালে তিনি মাসিক পরিক্রমা (১৯৬০-৬২), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা (১৯৭২), ত্রৈমাসিক সাহিত্যপত্র (১৯৮৪) ইত্যাদি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেন।’

সম্পাদনা করেছেন ‘পরিক্রমা’, ‘সাহিত্যপত্র’, ‘সচিত্র সময়’, ‘সাপ্তাহিক সময়’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা’, ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টাডিস’ প্রভৃতি।

বিশিষ্ট লেখক, গবেষক, নাট্যকার, সংগঠক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ড. নাজমা জেসমিন চৌধুরীর ছিলেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর স্ত্রী।

ড. নাজমা ১৯৮৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মারা যান। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর দুই কন্যা।

এই বিশিষ্টজনের জন্মদিন উপলক্ষে আজ (শুক্রবার) বিকাল ৪ টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মিলনায়তনে একক বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি মার্কসবাদী চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ এবং নতুন দিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। ১৯৮০-এর দশকে “গাছপাথর” ছদ্মনামে তিনি দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে সাপ্তাহিক প্রতিবেদন লিখে খ্যাতি অর্জন করেন।‌শিক্ষায় অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন।

error: দুঃখিত!