মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু এখন পর্যটকদের কোলাহলে মুখরিত। ধলেশ্বরী নদীর নির্মল পরিবেশ দেখতে সববয়সী নারী-পুরষ ছুটে আসছে। সুউচ্চ এই সেতু থেকে নৌকা, লঞ্চ, চাঁদের আলো এবং সূর্যাস্তের ণৈশর্গিক দৃশ্য কার না ভালো লাগে। তাই দুরদুরান্ত থেকে নানা শ্রেণী পেশার মানুষের মিলন মেলা এখন এই সেতু। ঈদের আনন্দ উপভোগ ছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যায় এমন ভিড় পড়ে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুর সেতুতে।
বিকাল থেকেই মুন্সীগঞ্জ ও নারায়নগঞ্জসহ আশপাশের এলাকার মানুষের পদ্চারনা শুরু হয়। সন্ধ্যায় এই ভিড় যায় আরও বেড়ে। সেতুটির ফুটপাত ছাপিয়ে ভিড় চলে আসে যানচলাল স্থলেও। তবে ঈদের ছুটিতে আশাপাশে বিনোদনের কোন স্থান না থাকায় এই ভিড় বেড়ে গেছে। তবে ঈদে তা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে বিনোদন পিয়াসু মানুষ। প্রকৃতির টানে গভীর রাত অবধি ঘুরে ফিরছে।
ধলেশ্বরী নদীর রাতের রূপ দেখে মুগ্ধ তারা। চাঁদের আলোয় নদীর উপর দাঁড়িয়ে নদী, আকাশ আর বাতাশের এই লোভনীয় দৃশ্য দেখার সুযোগ হাতছাগা না করতেই এখানে ছুটে আসা। মফস্বল শহর মুন্সীগঞ্জ এবং পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জে কোন পার্ক বা বিনোদনের যথযথ স্থান না থাকায় মুক্তারপুর সেতুকেই এই অঞ্চলের মানুষ বেছে নিয়েছে একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে। তবে পর্যটকদের দাবী নয়নাভিরাম ধলেশ্বরী তীরে পর্যটন কর্পোরেশনের উদ্যোগে বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন করা হউক।
রুবেল ভূঞা জানান, ধলেশ্বরীর মত এত সুন্দনদীকে ঘিরে মুন্সীগঞ্জে পর্যটন কেন্দ্র করা এখন সময়ের দাবী।
ঐশ্বী রহমান বলেন, মানুষের মনের শান্তি জন্য সুন্দর একটি জায়ড়া চাই। সেটি হতে পারে ধলেশরী নদীর তীর। এখানে নৌকা, লঞ্চ চলা আর আশপোশের প্রকৃতি এতটা মনোমুগ্ধকর যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।
মিজানুর রহমান বলেন, মানুষের রিফ্রেসম্যান্টের জন্য ছুটির সময় বা উৎসবে একটু ভ্রমন বা পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার বিকল্প নেই। কিছু আশে পাশে ওরকম কোন পর্যটন কেন্দ্র নেই বলেই ঝুকি নিয়ে সেতুর ওপর এত ভিড় হচ্ছে।