মুন্সিগঞ্জ, ৫ জুলাই, ২০২২, রাব্বি হোসেন (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের মুক্তারপুর পুরাতন ফেরিঘাট এলাকা থেকে ফিরিঙ্গিবাজার এলাকা পর্যন্ত ধলেশ্বরী নদীতীরের এক কিলোমিটারের বেশি সড়ক ভেঙ্গে ভগ্ন দশায় পরিণত হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর দাবি থাকলেও এ নিয়ে কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ না করায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সড়কটির ভাঙন ঠেকাতে স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে বাঁশ ও বালুর বস্তা ফেলেছেন। তবে পানি বাড়ায় তাও রয়েছে ঝুঁকিতে।
গতকাল সোমবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, ধলেশ্বরী তীরের এই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ঢালাই উঠে গিয়ে হাজারো খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে স্থানীয় জনগণসহ সরকারি বেসরকারি ও স্থানীয় স্কুল প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করছে।
অন্যদিকে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় সড়কটি দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফিরিঙ্গি বাজার পাশ্ববর্তী রিকাবিবাজার এলাকাটি ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য প্রসিদ্ধ হলেও সড়কটির বেহাল দশার কারণে বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহনগুলোকে বাধ্য হয়ে ভিন্ন সড়ক ব্যবহার করতে হচ্ছে। ফলে সেইসব সড়কে গাড়ির চাপ বেড়ে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
ফিরিঙ্গি বাজার, মালিপাথর, রিকাবীবাজার এলাকার বাসিন্দারা জরুরী প্রয়োজনে সড়কটি ব্যবহার করতে পারছে না। বাধ্য হয়ে তাদের ভিন্ন সড়কে যেতে হচ্ছে।
স্থানীয় মো. মোছন মিয়া আমার বিক্রমপুরকে বলেন, অনেক দিন যাবত রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। বর্ষার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে পানির তোড়ে রাস্তাটির আরও বেশ কিছু অংশ নতুন করে ভেঙে গেছে।
স্থানীয় জাকির হোসেন আমার বিক্রমপুরকে জানান, রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর। একটু বৃষ্টিতেই চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আমাদের একটাই দাবি রাস্তাটি সংষ্কার করা হোক।
স্থানীয় রমেশ দাস আমার বিক্রমপুরকে বলেন, স্কুলের ছেলে-মেয়েদের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটে। মুক্তারপুর বাজার বা মুন্সিগঞ্জ শহরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি।
ইজিবাইক চালক মুন্না বেপারি বলেন, রাস্তাটি দিয়ে গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়। এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালালে আমাদের গাড়িরও খুব ক্ষতি হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্ত্তী বলেন, ভেঙে যাওয়া সড়কটি এলজিইডির আওতায়। তাই এখানে আমাদের কিছু করার নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদর উপজেলা এলজিইডির একজন কর্মকর্তা জানান, মুক্তারপুর পুরাতন ফেরিঘাট থেকে ১৩শত মিটার সড়ক সংস্কারের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তবে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে কাজ বন্ধ আছে। পানি কিছুটা কমে আসলে সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।