মুন্সিগঞ্জ, ২৪ জুন ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
এক কেজি আমের দাম দুই লাখ টাকার উপরে। জাপানের মিয়াজাকি আম। বাংলাদেশে একে ডাকা হয় সূর্যডিম নামেও। এবার এই আম চাষ হচ্ছে মুন্সিগঞ্জে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোসহ এই আমের রয়েছে ৪ টি আলাদা পুষ্টিগুণ। যা অন্য সব আমে নেই।
সাধারণ আমের চেয়ে বড় ও লম্বা। আমের বাইরের আবরণ দেখতে গাঢ় লাল অথবা লাল-বেগুনি রঙের মিশ্রণ। একেকটি আমের ওজন হয় ৩৫০ থেকে ৪৫০ গ্রাম।
মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার বেতকা ইউনিয়নের মাহমুদাতপুরে মিয়াজাকি আম ছাড়াও ৩ একর জমিতে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন জাতের আম চাষ করেছেন প্রবাসী ব্যবসায়ী সাব্বির হোসেন রকি।
বিশ্বের অন্যতম বিরল প্রজাতির আম মিয়াজাকি।– প্রথমত এর স্বাদ এবং এর চাষপদ্ধতি এত বেশি দামের কারণ হলো। বিশেষ তাপমাত্রা, নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি, পরিমিত সারসহ একাধিক জিনিসের সমন্বয়ে মিয়াজাকি আম চাষ করতে হয়।
জাপানের মিয়াজাকি নামক স্থানেই এটি প্রথম চাষ শুরু হয়। এই আমের বিজ্ঞানসম্মত নাম হলো ‘তাইয়ো নো টোমাগো’ (Taiyo-no-tomago), এ ছাড়া এই আমটি ‘এগ অব সানসাইন’ (Egg of Sunshine) নামেও পরিচিত।
স্বাদের দিক থেকে অসাধারণ সুগন্ধ ও সুমিষ্ট এই মিয়াজাকি আম। তাই বলা যায় যে মূলত চাহিদা মোতাবেক জোগান কম থাকা, মিষ্ট স্বাদ, ভিন্ন রং এবং চাষপদ্ধতির কারণে আমটির দাম এত বেশি। মিয়াজাকি আম বাগানে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখতে হয ।
বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মিয়াজাকি আমের চাষ হয়। দেশের বাজারে এই আম বিক্রি হয় ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজিতে।
মিয়াজাকি আমের বিশেষ পুষ্টিগুণ হলো এই আমে নির্দিষ্ট প্রকৃতির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান রয়েছে। যার মধ্যে আছে বিটা-ক্যারোটিন এবং ফলিক এসিড। এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও পরিচিত। জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, ই, এ এবং কে ছাড়াও এতে কপার এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদান পাওয়া যায়, যা শরীরের জন্য অপরিহার্য। মিয়াজাকি আম হজমশক্তি ভালো রাখে। এটি ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা ও কোলেস্টেরল কমাতেও সহায়ক হতে পারে মিয়াজাকি আম।
রকির খামারে মিয়াজাকি ছাড়াও বিদেশী ব্রুনাই কিং, চিয়াংমাই, ব্যানানা, আমেরিকান রেড পালমালসহ দেশীয় রুপালি, হাড়িভাঙা, লক্ষণভোগ আমের চাষাবাদ হয় প্রতিবছর। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফরমালিন মুক্ত তাজা এসব আম নিতে আসেন ক্রেতারা।