৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | সকাল ৮:৫৬
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
মাদক নয়, মুন্সিগঞ্জের যুবসমাজে বাড়ছে পর্নো আসক্তি
খবরটি শেয়ার করুন:

সানিয়াৎ আব্দুল্লাহঃ বর্তমানে যুবসমাজের একটি বৃহৎ অংশের কাছে এখন মাদকের চেয়েও বেশি ভয়ংকর হয়ে দেখা দিয়েছে পর্নোগ্রাফি নেশা। মাদকের চেয়ে সহজলভ্য হওয়ায় এ নেশায় আক্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগ হারাচ্ছে। আর তাই জেলার ৬ উপজেলায় প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ইভটিজিং ও ধর্ষণের ঘটনা।

প্রযুক্তির অপব্যবহারের ফলে যুব সমাজে অবাধে ছড়িয়ে পড়ছে পর্নোগ্রাফি। জেলা শহরসহ প্রত্যন্ত এলাকার কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানগুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে পর্নোগ্রাফি ব্যবসা। মোবাইল ফোনের মেরোরি কার্ডে সহজেই পর্নোগ্রাফি আপলোড করা যায়।

এ প্রক্রিয়া সহজলভ্য হওয়ায় পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে যুবসমাজ। এরই ফলে হারাচ্ছে শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ ও নৈতিকতা।

জেলা সদরসহ উপজেলাগুলো ঘুরে দেখা গেছে, কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে মেমোরি কার্ডে পর্নোগ্রাফি আপলোড করা হচ্ছে। এসব দোকানের সাইনবোর্ডে কম্পিউটার কম্পোজ, মেমোরি কার্ড লোড ও ডিজিটাল ছবি তোলার কথা লেখা থাকলেও এর আড়ালে অবাধে চলছে পর্নোভিডিও সরবরাহের ব্যবসা।

এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেশি-বিদেশি পর্নোগ্রাফি লোড করতে মেমোরি কার্ডে প্রতি জিবি ২০ টাকা হারে নেয়া হচ্ছে। এসব পর্নোগ্রাফির অভিনয়শিল্পীরা বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি রয়েছে বাংলাদেশ-ভারতের বিভিন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রী রয়েছে। আর এ কারণে এসব পর্নোগ্রাফির প্রতি যুব সমাজের আগ্রহ বেশি।

পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮/৩ ধারা অনুসারে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ইন্টারনেট বা ওয়েবসাইট বা মোবাইল ফোন বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি সরবরাহ করলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য সর্বেচ্চ ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদন্ড এবং ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন।

কিন্তু এ আইন সম্পর্কে জনগণের সচেতনার অভাব এবং আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকায় দিন দিন পর্নোগ্রাফি সরবরাহের অপরাধ বেড়েই চলেছে।

error: দুঃখিত!