২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শনিবার | দুপুর ২:৫০
ভোগান্তি আর ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে নদী পারি দিচ্ছে মোটরসাইকেল
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৯ জুন, ২০২২, আরাফাত রায়হান সাকিব (আমার বিক্রমপুর)

পদ্মা সেতুতে বন্ধ রয়েছে মোটরসাইকেল চলাচল। সেতু কর্তৃপক্ষ থেকে পণ্য হিসাবে পিকআপ— ট্রাকে করে মোটরসাইকেল পারাপারের সুযোগ রয়েছে বলে গতকাল জানানো হয়েছে।

এদিকে শিমুলিয়া—বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌরুটে চলছে না ফেরি। এমনই পরিস্থিতিতে এবার ট্রলার দিয়ে নদী পারাপার করছে মোটরসাইকেল চালকরা। এতে তাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মাঝিকান্দি ঘাট থেকে বেশ কয়েকটি ট্রলার মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা নদী পারি দিয়ে শিমুলিয়াঘাটে আসতে দেখা যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, কোনটিতে ১৫টি, কোনটিতে ২০টি করে মোটরসাইকেল নিয়ে ট্রলার গুলো তীব্র স্রোতের মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে পারি দিচ্ছে। এতে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় দূর্ঘটনা।

একটি মোটর সাইকলকে ৩শ থেকে ৫শ টাকার বিনিময় নদী পার করছে ট্রলার চালকরা। তবে নদী পারি দেওয়া বাইকাররা জানান ভিন্ন কথা। ফেরি বন্ধে কোন উপায় না পেয়ে এ পথ বেছে নিয়েছেন তারা।

পদ্মা সেতুতে বিশৃঙ্খলা দূর করতে কঠোর নিয়ম করে শুধু মাত্র প্রয়োজনীয় মোটরসাইকেলগুলোকে সেতু পারাপারের সুযোগ দিতে অনুরোধ তাদের।

গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী মোটরসাইকেল চালক সায়মন জানান, সেতু বন্ধ। ফেরিও বন্ধ তাহলে আমরা কিভাবে যাবো। আমাদেরতো যাওয়ার উপায় নেই। বাধ্য হয়ে ট্রলারে নদী পারি দিলাম, সেতুতে ১শ টাকা টোল। স্বপ্ন ছিলো সেতু চালু হলে ঢাকা যাওয়ার খরচ ভোগান্তি কমে যাবে। এখন ট্রলারে ৫০০টাকা লাগলো। আরো খরচ বেড়েছে, ভোগান্তির কথা আর নাই বলি।

বরিশাল থেকে ঢাকাগামী মো. সাজু জানান, যারা ব্রীজে টিকটক করে, জোরে চালায়, বিশৃঙ্খলা করে, নাট খোলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হউক। প্রয়োজনে ছবি তুললে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হোক। পদ্মা সেতুর জন্য সব সিদ্ধান্ত আমরা মানি। তবে কয়েকজনের জন্য সবার ভোগান্তি কেনো হবে।

রিয়াদ হোসেন বলেন, বাদামতলী একটা দোকানে কাজ করি। ছুটি নিয়ে বাসায় গিয়েছিলাম, দুপুর ১২টার মধ্যে দোকানে থাকার কথা ছিলো। সকাল বেলা প্রথমে জাজিরা টোল প্লাজায় যাই। সেখান থেকে মাঝিকান্দি ফেরিঘাটে যেতে বলা হয়। সেখানে এসে দেখি ফেরি চলে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার করলাম।

ইকবাল হোসেন বলেন, কিছু মানুষের জন্য সবাই ভুক্তভোগী হবে। আমাদের দোষ কি, পদ্মা সেতু আমাদের গর্বের সেতু। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, যারা প্রয়োজনের জন্য আসবে তাদের প্রয়োজন বিবেচনায় যেতে দেওয়া হউক। যাদের প্রয়োজন তাদের কি আটকে রাখা যাবে, তাদের আটকে রাখা যাবে না, দাবায় রাখা যাবে না। তারা যেভাবেই হউক পদ্মা পারি দিবে।

প্রসঙ্গত, গেল সোমবার ভোর ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। রোববার (২৬ জুন) রাতে তথ্য অধিদপ্তরের এক তথ্য বিবরণীতে সেতু বিভাগের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

error: দুঃখিত!