১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শনিবার | সকাল ৯:৪৩
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
ভারতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করলো বিএসসিসিএল
খবরটি শেয়ার করুন:

ভারতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি নিয়ে নানা সমালোচনায় এর যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)।

বাংলাদেশ থেকে ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যে ব্যান্ডউইথ পেতে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির সঙ্গে ইতিমধ্যে চুক্তি করেছে ভারত সঞ্চার নিগার লিমিটেড (বিএসএনএল)।

ভারতীয়রা আপাতত বাংলাদেশ থেকে ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ নেবে। পরবর্তীতে তা ৪০ জিবিপিএস পর্যন্ত বাড়তে পারে।

দেশের এই ব্যান্ডউইথ রপ্তানির যৌক্তিকতা নিয়ে নানা প্রশ্নের মুখে শেষমেষ সংবাদ সম্মেলন করে এর যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে বিএসসিসিএল।

এতে বিএসসিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে দেশের চাহিদা ১২৫ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ। এরমধ্যে বিএসসিসিএল ৩৩ এবং আইটিসি কোম্পানিগুলো ভারত থেকে আমদানি করে ৯২ জিবিপিএস দিয়ে থাকে।

এদিকে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির হাতে আছে ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ। ২০১৬ এর ডিসেম্বরে দেশের চাহিদায় বিএসসিসিএল যোগ করতে পারবে ৯০ জিবিপিএস। তাই পড়ে থাকা ১১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা যুক্তিযুক্ত।

 

ব্যান্ডউইথ ব্যবহার না করলে পঁচে যাবে তাই তা নষ্ট না করে ভারতে রপ্তানি করলে বিএসসিসিএল আর্থিকভাবে লাভবান হবে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।

বিএসসিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, প্রতি মেগাবিট ১০ ডলার করে ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করে বিএসসিসিএল বছরে ১২ লাখ ডলার আয় করবে। যা ব্যান্ডউইথের পরিমান ৪০ জিবিপিএস হলে বছরে এই আয় হবে ৪৮ লাখ ডলার।

তিনি উল্লেখ করেন, বিএসসিসিএল সম্প্রতি দেশের ভেতরে ব্যান্ডউইথের দাম কমানোর অনুমোদন পেয়েছে। কিন্তু এর আগেই কক্সবাজার থেকে ১০ জিবিপিএস লেভেলে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে প্রতি মেগাবিট ব্যান্ডউইথ ৬১২ টাকায় লীজ দিচ্ছে। কক্সবাজার থেকে ভারতে আর ঢাকায় ট্রান্সমিশন খরচ তুলনা করলে দেশের ভেতরে ব্যান্ডউইথের দাম রপ্তানিকৃত ব্যান্ডউইথের চেয়ে কম।

১০ জিবিপিএস লেভেলে ব্যান্ডউইথের নতুন মূল্য ৬২৫ টাকা ভারতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির পূর্বেই বাস্তবায়ন করা হবে। ফলে ঢাকায় বিএসসিসিএল বাংলাদশের গ্রাহকের কাছে যে দামে ব্যান্ডউইথ দেবে তার থেকে বেশি দামে ভারতের বিএসএনএলকে দেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন বিএসসিসিএলের ডিজিএম (ডেভেলপমেন্ট) জাকিউল আলম, ডিজিএম ( ব্যান্ডউইথ প্লানিং) পারভেজ মনন আশরাফ, ডিজিএম (অপারেশন অ্যান্ড মেইন্টেন্যান্স আইআইজি) আব্দুল ওয়াহাব, ডিজিএম (ফিন্যান্স) সুকান্ত কুমার দেবনাথ ও কোম্পানি সেক্রেটারি আব্দুস সালাম খান।

error: দুঃখিত!