দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর অবশেষে ভারতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি শুরু হচ্ছে ১ ডিসেম্বর। এ দিন থেকে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যে যাবে ব্যান্ডউইথ।
ইতিমধ্যে উভয় দেশের অপটিক্যাল ফাইবারের মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে রপ্তানি শুরুর দিনক্ষণ নির্ধারণের খবরটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন।
রপ্তানি শুরু উপলক্ষে ঢাকায় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হতে পারে। তবে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সময় দিতে পারলে আখাউড়ায় অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনাও রয়েছে বিএসসিসিএলের।
গত ১৬ নভেম্বর দুই দেশের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপিত হয়। ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ।
মনোয়ার হোসেন জানান, পরীক্ষামূলকভাবে এক সপ্তাহ সরবরাহ করা হবে। এ কার্যক্রম সফল হলে আনুষ্ঠানিকভোবে রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
এর আগে গত ৫ জুন উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অন্তত ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ নিতে বিএসসিসিএলের সঙ্গে চুক্তি করে ভারতের রাষ্ট্রয়ত্ত কোম্পানি সঞ্চার নিগার লিমিটেড (বিএসএনএল)।
চুক্তি অনুসারে প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইথের মূল্য ধরা হয়েছে ১০ ডলার।
প্রাথমিক হিসেবে এ ব্যান্ডউইথ রপ্তানি থেকে বিএসসিসিএল বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বছরে অন্তত নয় কোটি ৩৬ লাখ টাকা আয় করবে।
রপ্তানি শুরুর পরে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে ব্যান্ডউইথ বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হতে পারে বলেও চুক্তিতে উল্লেখ আছে।
বর্তমানে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির হাতে আছে ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ। এর মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবহার হচ্ছে মাত্র ৪৩ জিবিপিএস। ভারতীয়রা ১০ জিবিপিএস নিলে ব্যবহার বেড়ে দাঁড়াবে ৫৩ জিবিপিএস।
চুক্তির পর চার মাস পেরিয়ে গেলেও ভারতের সাত রাজ্যে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি শুরু করা যায়নি। অথচ চুক্তিতে তিন মাসের একটি বাধ্যবাধকতা ছিল।
এ প্রসঙ্গে বিএসসিসিএল এমডি বলেন, বাংলাদেশ অংশের কাজ অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। ভারতীয়দের কারণেই এতদিন রপ্তানি শুরু হয়নি। তারা এখন কাজ শেষ করায় ও বেশি আগ্রহ দেখানোতে চুক্তির এ অংশটি বড় করে দেখা হচ্ছে না।
এমডি জানান, রপ্তানির এ প্রক্রিয়া শেষ হলে বিএসসিসিএল নেপাল ও ভুটানে ব্যন্ডউইথ রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু করবে।