মুন্সিগঞ্জ, ১ মার্চ, ২০২১, শ্রীনগর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুলে একটি বেহাল রাস্তায় হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি হচ্ছে।
সড়কটির ভাগ্যকুল র্যাব-১০’র ক্যাম্পের সামনে থেকে ঐতিহ্যবাহী ভাগ্যকুল বাজার পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার সড়কের পিচ উঠে খানাখন্দে ভরে গেছে।
এখানে রয়েছে, ঐতিহ্যবাহী ভাগ্যকুল বাজার, ভাগ্যকুল হরেন্দ্র লাল স্কুল এন্ড কলেজ, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, পোষ্ট অফিস, ভূমি অফিস, ব্যাংক, ভাগ্যকুল র্যাব ক্যাম্প, সরকারি-বেসকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের সেবা নিতে প্রতিদিন হাজারো মানুষের আগমন ঘটে।
গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে মানুষের বেহাল রাস্তাটি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে যাতায়াতকারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভাগ্যকুল বাজার-বালাশুর চৌরাস্তা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা শ্রীনগর-দোহার আন্ত:সড়কের সংযোগ সড়ক হিসেবে পরিচিত। বালাশুর বাজার থেকে দক্ষিণ দিকে র্যাব-১০ ক্যাম্প পর্যন্ত প্রায় ৬০০-৮০০ ফুট আরসিসি ঢালাই। বাকি প্রায় ১ কিলোমিটার ভাগ্যকুল বাজার হয়ে পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে মান্দ্রা ও রাঢিখাল হয়ে উপজেলার কবুতরখোলা অংশে পার্শ্ববর্তী লৌহজং উপজেলার মাওয়া পুরনো ফেরীঘাটের সাথে সংযুক্ত সড়ক এটি। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ভাগ্যকুল বাজার থেকে উত্তর দিকে ভাগ্যকুল র্যাব ক্যাম্প পর্যন্ত দীর্ঘদিনের সংস্কারের অভাবে সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে।
লক্ষ্য করা যায়, এখানে রাস্তার অনেকাংশে পিচ উঠে কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। রাস্তাজুড়ে অসংখ্যা গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
পথচারী লিটন, অটো চালক আরমান, দোকানি রাসেল, আবুল, স্থানীয় বাসিন্দ মুরাদ, সুরুজ মিয়াসহ অনেকেই বলেন, গত ৫/৬ বছর আগে রাস্তা পিচ হয়েছে। এর পরে আর সংস্কার হয়নি। বৃষ্টির পানি জমে রাস্তা বেহাল হয়েছে। এটুকু রাস্তা খানাখন্দের কারণে যানবাহণ চলাচলে ও হাঁটা চলাফেরায় হমানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। দুর্ভোগ লাঘবে রাস্তা সংস্কার কাজে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।
ভাগ্যকুল ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পারভেছ কবিরের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, র্যাব ক্যাম্প থেকে ভাগ্যকুল বাজার পর্যন্ত রাস্তায় মানুষের চলাচলের অনুপযোগী। রাস্তা খারাপের কারণে অটোরিক্সা, মোটরসাইকেল উল্টে স্কুলের শিক্ষার্থী ও পথচারীরা আহত হচ্ছেন। পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি রাস্তায় জমে থাকে। এতে গর্তগুলো মৃত্যুকূপে পরিণত হয়। বাধ্য হয়েই মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে রাস্তার আরসিসি ঢালাই কাজের জন্য আবেদন করেছি। যদি সড়কের এই অংশটুকু আরসিসি ঢালাই করা হয়, তাহলে রাস্তা ভাঙ্গার সম্ভাবনা থাকবে না। জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘব হবে।