মুন্সিগঞ্জের বেতকা-বালুচর সড়কের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার অংশের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কে চলাচলকারী মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বেতকা সেতু পার হয়ে সড়কটির মাঝখানের কিছু অংশ নারায়ণগঞ্জের বক্তাবলীতে পড়েছে। সড়কের বাকি অংশ মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নে পড়েছে। তাই বেতকা-বালুচর সড়ক হিসেবে এটি পরিচিত। সড়কের বেতকা সেতুর কাছ থেকে বালুচর অংশের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার অংশ খুবই খারাপ।
গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কে বড় বড় গর্ত। কোনো কোনো গর্ত এক ফুট গভীর। পণ্যবাহী একটি ট্রাক সড়কটি দিয়ে গেলে আশপাশ ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এ সময় অটোরিকশার যাত্রীদের নাক-মুখ চেপে বসে থাকতে দেখা যায়।
সড়কে চলাচলকারী গাড়ির কয়েকজন চালক বলেন, দু-তিন বছর ধরে সড়কটির এ হাল। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে যতই দিন যাচ্ছে গর্ত আরও বড় হচ্ছে। গর্তে গাড়ির চাকা পড়লে গাড়ি উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। পিচ ও খোয়া উঠে গোটা সড়ক এখন ধুলার সড়কে পরিণত হয়েছে। যাত্রীরা একবার এ পথে গেলে দ্বিতীয়বার আর যেতে চান না।
বালুচর ইউনিয়নের বালুচর বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ বলেন, সড়কটি কেউ না দেখলে বা এর ওপর দিয়ে একবার না গেলে তাকে বোঝানো যাবে না সড়কটি কত খারাপ। বড় বড় গর্ত থেকে ধুলা উড়ে বাতাসের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। সড়কের পাশের গাছপালাগুলোর পাতা রাস্তার খোয়ার ধুলায় লাল হয়ে গেছে। কৃষক মজিবর ব্যাপারী বলেন, এ বেহাল সড়ক দিয়ে হিমাগারগুলোতে আলু নিতে ভীষণ কষ্ট করতে হয়। এর ফলে পরিবহন খরচ বেশি দিতে হয়।
কলেজছাত্রী আয়শা আক্তার বলে, তাঁকে মুন্সিগঞ্জে কলেজে যেতে হয় অটোরিকশায়। গর্তে অটোরিকশার চাকা পড়লে এমন ঝাঁকি খায়, মনে হয় যেন গাড়ি উল্টে যাবে। আর ধুলার কারণে পোশাক নষ্ট হয়ে যায়।
জানতে চাইলে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘সড়কের প্রায় পাঁচ কিলোমিটারের অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা ইতিমধ্যে প্রকল্প গ্রহণ করেছি। শিগগিরই দরপত্র আহ্বান করতে পারব বলে আশা করছি।’