১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | রাত ৪:৩২
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
বিবাহের নির্যাতনে পিষ্ট বাংলাদেশের কিশোরীরা: দেখুন জীবনের খুব নিকটে কিছু বিষণ্ন ছবি
খবরটি শেয়ার করুন:
বিয়ের দিন সকালে গোসল করানো হচ্ছে বাল্যবধূকেপ্রতিবেশীর ঘোরের দাওয়ায় দাঁড়িয়ে ভাবনায় মগ্ন নাসোইনপার্লারে দেওয়া হচ্ছে বিয়ের সাজ
বিয়ের অনুষ্ঠানে ৩২ বছর বয়সী বড় মোহাম্মদ হাসামুর রহমানের আগমনক্রন্দনরত মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শ্বশুরবাড়িতে, সামনে তার অজানা ভবিষ্যৎছবি তোলা হচ্ছে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে
বাল্যবধুর সাথে বর১৪ বছর বয়সী মোসাম্মৎ আঁখি আক্তার, বিয়ের শাড়ি হাতেনিজের শ্বশুরবাড়ির দাওয়ায় দাঁড়িয়ে ১৪ বছর বয়সী সীমা আক্তার

আমার বিক্রমপুরঃ দেশ আধুনিক হয়েছে, মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে, হয়েছে বাল্যবিবাহ রোধে আইন। কিন্তু তাই বলে কি থেমে গেছে এই অন্যায় প্রথা? আমেরিকান ফটোজার্নালিস্ট অ্যালিসন জয়েসের ক্যামেরায় উঠে এসেছে সত্যটি, যে এখনও বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে হরহামেশাই বাল্যবিবাহের বলি হচ্ছে সদ্য শৈশব পার হওয়া কিশোরীগুলো। দেখুন জীবন থেকে উঠে আসা এসব ছবি।

১৫ বছর বয়সের আগেই এই দেশের ২৯ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। ১৮ বছর বয়স আসতে না আসতেই অন্যর ঘরের বউ হয়ে চলে যায় ৬৫ শতাংশ। মেয়ে সন্তান ফ্রক ছেড়ে সেলোয়ার কামিজ ধরলেই ভীষণ অস্থির হয়ে যান আত্মীয়রা, মেয়েকে কবে “পার” করা যাবে সেই চিন্তায়! কারণ বাংলাদেশে মেয়ে মানে তো এখনো একটা বোঝা বই কিছু নয়! অথচ তারা এটুকু চিন্তা করেন না, যে এতো কম বয়সে বিয়ে দেবার ফলে মেয়েটির শরীর ও মন কীভাবে ঝড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই বয়সের একটি বিবাহিত মেয়ের নির্যাতিত হবার ঘটনা অনেক বেশি থাকে। শুধু তাই না, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তার প্রথম শারীরিক সম্পর্কটি ঘটে তার নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে। ১৫ বছর বয়সী একটি কিশোরির সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনাও থাকে ভীষণ উঁচু।

ছবিতে যে বালিকাকে দেখতে পারছেন, তার নাম নাসোইন আক্তার, বয়স ১৫। এই বয়সেই তাকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে তার দ্বিগুণেরও বেশি বয়সি একজন মানুষের সাথে। শুধু নাসোইন নয়, ছবিতে দেখা যায় আঁখি এবং সীমা নামের আরো দুইটি কিশোরিকে, বয়স ১৫ হবার আগেই যাদের সংসারের গণ্ডীতে ঢুকে পড়তে হয়েছে। মানিকগঞ্জের গ্রাম্য এলাকা থেকে তোলা সবগুলো ছবি কটাক্ষ করে আমাদের বাল্যবিবাহ আইনকে, কটাক্ষ করে আমাদের শিক্ষিত সমাজকে।

সুত্র: Huffington Post

error: দুঃখিত!