আমার বিক্রমপুরঃ দেশ আধুনিক হয়েছে, মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে, হয়েছে বাল্যবিবাহ রোধে আইন। কিন্তু তাই বলে কি থেমে গেছে এই অন্যায় প্রথা? আমেরিকান ফটোজার্নালিস্ট অ্যালিসন জয়েসের ক্যামেরায় উঠে এসেছে সত্যটি, যে এখনও বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে হরহামেশাই বাল্যবিবাহের বলি হচ্ছে সদ্য শৈশব পার হওয়া কিশোরীগুলো। দেখুন জীবন থেকে উঠে আসা এসব ছবি।
১৫ বছর বয়সের আগেই এই দেশের ২৯ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। ১৮ বছর বয়স আসতে না আসতেই অন্যর ঘরের বউ হয়ে চলে যায় ৬৫ শতাংশ। মেয়ে সন্তান ফ্রক ছেড়ে সেলোয়ার কামিজ ধরলেই ভীষণ অস্থির হয়ে যান আত্মীয়রা, মেয়েকে কবে “পার” করা যাবে সেই চিন্তায়! কারণ বাংলাদেশে মেয়ে মানে তো এখনো একটা বোঝা বই কিছু নয়! অথচ তারা এটুকু চিন্তা করেন না, যে এতো কম বয়সে বিয়ে দেবার ফলে মেয়েটির শরীর ও মন কীভাবে ঝড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই বয়সের একটি বিবাহিত মেয়ের নির্যাতিত হবার ঘটনা অনেক বেশি থাকে। শুধু তাই না, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তার প্রথম শারীরিক সম্পর্কটি ঘটে তার নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে। ১৫ বছর বয়সী একটি কিশোরির সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনাও থাকে ভীষণ উঁচু।
ছবিতে যে বালিকাকে দেখতে পারছেন, তার নাম নাসোইন আক্তার, বয়স ১৫। এই বয়সেই তাকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে তার দ্বিগুণেরও বেশি বয়সি একজন মানুষের সাথে। শুধু নাসোইন নয়, ছবিতে দেখা যায় আঁখি এবং সীমা নামের আরো দুইটি কিশোরিকে, বয়স ১৫ হবার আগেই যাদের সংসারের গণ্ডীতে ঢুকে পড়তে হয়েছে। মানিকগঞ্জের গ্রাম্য এলাকা থেকে তোলা সবগুলো ছবি কটাক্ষ করে আমাদের বাল্যবিবাহ আইনকে, কটাক্ষ করে আমাদের শিক্ষিত সমাজকে।
সুত্র: Huffington Post