কাউকে বিনা বিচারে আটকে রাখলে, তিনি আটককারী কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারেন বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় সংসদে বুধবারের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি জেলে থাকা অবস্থায় জানতে পারি যে, অনেক মানুষ বিনা অপরাধে জেলে আটক অবস্থায় আছে।”
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২০০৮ সালের ১১ জুন তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সকল আটক ব্যক্তিদের অবিলম্বে জেল থেকে মুক্ত করা প্রয়োজন। কিছু এনজিও এবং সরকারি জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে এইসব আটক ব্যক্তিদের কারাগার থেকে মুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং এ প্রক্রিয়া চলমান আছে।”
“যারা বিনা অপরাধে আটক রয়েছে তারা সংশ্লিষ্ট আটককারী কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারে। তাছাড়া যদি কেউ রাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে তবে আইনে সে বিধানও রয়েছে,” বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরেক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব অনুযায়ী সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে (জানুয়ারি ২০০৯ থেকে অক্টোবর ২০১৬ পর্যন্ত) শতভাগ বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগে এক হাজার ৩৭৬টি শিল্প প্রকল্পে অনুকূলে নিবন্ধিত হয়েছে।
এসব প্রকল্পে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ২ হাজার ১১৩ মিলিয়ন (২৭.৬৪ বিলিয়ন ডলার) টাকা। এসব প্রকল্পের প্রস্তাবনায় ৪ লাখ ৩১ হাজার ৬৮৮ জনের কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে শতভাগ বিদেশী ও যৌথ মালিকানায় ৭টি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগে নিবন্ধিত হয়েছে।