মুন্সিগঞ্জ, ১২ নভেম্বর ২০২৩, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ জেলা ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিক্রমপুর মানব সেবা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মত মেধাবৃত্তি-২০২৩ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ বছর জেলার তিনটি উপজেলার ৭৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১ হাজার ৫৬০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। এ পরীক্ষায় বৃক্ষরোপণের ওপর রয়েছে অতিরিক্ত ১০ নম্বর।
আগামী ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিতব্য মেধাবৃত্তি-২০২৩ পরীক্ষায় সদর উপজেলার ৩১টি, টংগিবাড়ি উপজেলার ১৮টি ও সিরাজদিখান উপজেলার ২৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে চলতি সপ্তাহে স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সংগঠনটির নিদিষ্ট ফরম পূরণের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
৮০ নম্বরের এ নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও আইসিটি সহ প্রতিটি বিষয়ের উপর ১৫ নম্বর এবং সাধারণ জ্ঞান, মুন্সিগঞ্জ ও বিক্রমপুর মানব সেবা ফাউন্ডেশন সম্পর্কে ১০ নম্বর রয়েছে। এছাড়া বৃক্ষরোপণে রয়েছে অতিরিক্ত ১০ নম্বর।
মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সাধারণ ও ট্যালেন্টপুল দুইটি বিভাগে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা নগদ অর্থ, সম্মাননা স্মারক ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
উপজেলা ভিত্তিক তিনটি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যথাক্রমে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী জয়কালী উচ্চবিদ্যালয়, টংগিবাড়ি উপজেলার কামারখাড়া রাধানাথ উচ্চবিদ্যালয় ও সিরাজদিখান উপজেলার রসুনিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে।
সংগঠনটির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক হিরা বলেন, মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় ভালো নম্বর অর্জন করতে শিক্ষার্থীরা বৃক্ষরোপণ করবে। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী বৃক্ষরোপণ করে আমাদের কাছে ছবি পাঠিয়েছেন। আমরা বিশ্বাস করি মেধাবী শিক্ষার্থী হওয়ার পাশাপাশি ভালো মানুষ হওয়া প্রয়োজন। তাই প্রকৃতিকে ভালোবেসে এ বৃক্ষরোপণ করছে শিক্ষার্থীরা।
মেধাবৃত্তি-২০২৩ এর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জসিম মোল্লা বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে এ সংগঠনটি কাজ করে যাচ্ছে। গতবার মাত্র ২২টি বিদ্যালয় নিয়ে এ মেধাবৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হলেও এ বছর তিনটি উপজেলার ৭৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নিয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ধারাবাহিকভাবে পুরো জেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয় নিয়ে মেধাবৃত্তি আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মূলত শিক্ষার্থীদের উচ্চ পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আমাদের এ মেধাবৃত্তি পরীক্ষার অভিজ্ঞতা কাজে আসবে বলে আমরা মনে করি। তাই আমরা ওইরকম একটি পরিবেশ সৃষ্টি করে এই পরীক্ষার আয়োজন করে থাকি।