পাল শাসন আামলে বাংলার রাজধানী ছিল বিক্রমপুর। রাজা বিক্রমাদিত্যের নামানুসারে এই অঞ্চলের নামকরন হয় বিক্রমপুর। বিক্রমাদিত্য হিন্দু পুরানের একজন রাজা ছিলেন। তবে বেশ কয়েকজন শাসক যেমনঃ চন্দ্রগুপ্ত–২, ধর্মপাল, সম্রাট হেমু প্রমুখ বিক্রমাদিত্য পদবিটি গ্রহণ করেছিলেন। তাই এটি পরিষ্কার নয় কার নামে বিক্রমপুরের নামকরণ করা হয়েছিল।
বিক্রমপুর নামের ‘‘বিক্রম’’ অর্থ সাহস বা বীরত্ব এবং ‘‘পুর’’ অর্থ নগর বা এলাকা যা উপমহাদেশে বিভিন্ন অঞ্চল বা এলাকার নামের শেষাংশ হিসাবে সাধারণতঃ ব্যবহার করা হয়। প্রাচীন বাংলার শাসকরা এই অঞ্চলে তাদের রাজধানী করে শাসন করতো। তাদের মধ্য সেন বংশ এবং পাল বংশ উল্লেখযোগ্য।
মুন্সীগঞ্জ শহরের অদুরে রামপাল নামের একটা জায়গা আছে যেখানে রামপালের দীঘি আর কিছু দালানকোটার ধংশাবশেষ (ইটগুলো লোকজন নিয়ে বাড়ী বানিয়ে ফেলেছে) পালবংশের রাজধানীর প্রমান দেয়। তারপর মোগলরা তাদের রাজধানী সোনারগায়ে সরিয়ে নেয়। পরে নবাব মীর জুমলা মুন্সীগঞ্জে সেনানিবাস তৈরী করে যা ইদ্রাকপুর নামে পরিচিত হয়। পরবর্তীতে ইংরেজদের সময় সমস্ত এলাকাকে নতুনভাবে ভাগ করে জমিদারদের হাতে তুলে দেয়। সেই এক জমিদারের নামে এলাকাটির নাম হয় মুন্সীগঞ্জ।
মুলত বিক্রমপুরে যে সীমানা ধারনা করা হয় তা ছিলো পদ্মা-ধলেশ্বরী-মেঘনা এবং আড়িয়াল খাঁ নদী দিয়ে পরিবেষ্টিত। ইংরেজরা মুন্সিগঞ্জ মহকুমা হিসাবে বিক্রমপুরের অংশ বিশেষ এবং সোনার গাঁ এর অংশ বিশেষ নিয়ে প্রতিষ্ঠা করে। পরে এরশাদ আমলে মহকুমা মুন্সীগঞ্জ জেলা হিসাবে ঘোষিত হয়।