৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শনিবার | রাত ৮:০২
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
বিক্রমপুরের ‘খান সাহেব’ কবি এমদাদ আলী
খবরটি শেয়ার করুন:

মাহবুব আলম জয়ঃ
ইতিহাসে ভরপুর প্রাচীন জনপদ বিক্রমপুর। এই আলোকিত জেলায় জন্মেছেন বিখ্যাত ব্যক্তি বর্গ। নিজেদের কৃতিত্বে অর্জন করেছেন বিভিন্ন উপাধি।

তাদের মধ্যে অন্যতম কবি ও লেখক সৈয়দ এমদাদ আলী।

তিনি ১ আশ্বিন ১২৮২ বঙ্গাব্দে মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুরের দামপাড়া গ্রামে এক নিম্নবিত্ত সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।

তিনি মুন্সিগঞ্জ উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রাস ও জগন্নাথ ঢাকা কলেজ থেকে এফ এ পাস করেন।

তিনি শিক্ষকতা পেশায় নেত্রকোনা দত্ত হাইস্কুলে নিয়োজিত ছিলেন বলে একাধিক গ্রন্থ সূত্রে জানা যায়।

১৯০৩ সালে সাহিত্যপত্র নবনূর এর সম্পাদনা করেন তিনি। একই বছর পুলিশ বিভাগে সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে যোগদান করেন। পরে ইন্সপেক্টর পদে উন্নীত হন।

মুসলমান সমাজে কল্যাণ সাধনা ছিল এমদাদ আলীর মূল লক্ষ্য। কর্ম দক্ষতায় সফলতার কারণে তৎকালীন সরকার তাকে ‘খান সাহেব উপাধিতে ভূষিত করেন বলে জানা যায়।

তবে উইকিপিডিয়ায় সৈয়দ এমদাদ আলীকে নিয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

১৯১২ সালে তার প্রথম কাব্য গ্রন্থ ‘ডালি’ প্রকাশ পায়। ১৯১৭ জীবনী গ্রন্থ ‘তাপসী রাবেয়া’ ১৯২৮ সালে ‘হাজেরা’ নামক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এগুলো তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।

গদ্য শিল্পী হিসেবেও তার ছিল বিষেষ সুনাম। কর্ম দক্ষতার পাশাপাশি তিনি সাহিত্যে বেশ ভূমিকা রেখেছেন। পুলিশে চাকুরী করা সত্বেও সৎ জীবন যাপন করাই তার মূল লক্ষ্য ছিল।

এই বিশিষ্ট কবি ও লেখক খান সাহেব সৈয়দ এমদাদ আলী ঢাকায় ১৭ অগ্রাহায়ন ১৩৬৩ বঙ্গাব্দে পরলোকগমন করেন। হিন্দু মুসলিম সম্প্রীতির পটভূমিকায় মুসলিম সমাজে তিনি যে কর্মকান্ড করেছেন তা অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে সকলের মাঝে রয়ে যাবে। ইসলামি মানবতাবাদের আলোকে মানব কল্যাণে তার মহৎ কর্মে তিনি সকলের মাঝে বেঁচে থাকবেন।

এই বিভাগের সর্বশেষ
ফেইসবুকে আমরা
ইউটিউবে আমরা
error: দুঃখিত!