চাহিদার তুলনায় সাড়ে ১১ হাজার মেট্রিক টন কম বরাদ্দ পেয়েও অবিক্রিত ১৫শ আলুবীজ নিয়ে বিপাকে পড়েছে মুন্সিগঞ্জে বিএডিসির তালিকাভুক্ত ডিলাররা।
জানা যায়, মুন্সিগঞ্জে এবার বিএডিসির আলুবীজের চাহিদা ছিল ১৩ হাজার ৫৯৬ মেট্রিকটন। কিন্তু ডিলারদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র দুই হাজার মেট্রিকটন। এরপরও ডিলারদের কাছে প্রায় ১৫শ বস্তা আলু বীজ অবিক্রিত রয়ে গেছে।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিএডিসির আলুবীজের প্রতি তাদের আস্থা কমে গেছে। ফলে তারা অন্য কোম্পানির বীজের প্রতি ঝুঁকেছেন। এতে করে অবিক্রিত রয়েছে গেছে বীজের একটি বিশাল চালান। অতিদ্রুত অবিক্রিত বীজগুলোর কোনো ব্যবস্থা না নিলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে এমন আশঙ্কা ডিলারদের।
তারা আরো জানান, সরকারি বিএডিসি আলুবীজের মান তেমন একটা ভাল নয়। আলুর ফলনও ভাল হয় না। বাধ্য হয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও কাঠের বাক্সে ভর্তি বিদেশী বীজ ও কোল্ডস্টোরেজে রাখা নিজস্ব আলুবীজ রোপন করেছে তারা। এতে সরকারি বিএডিসির আলুবীজের চাহিদা কমে যায়।
বিএডিসির বীজ ডিলার সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক আহমদ উল্লাহ বলেন, এবারের চাহিদা অনুযায়ী আলু বীজ পাওয়া যায়নি। তার পরেও আমার দোকানে ৩শ বস্ত বীজ অবিক্রিত রয়ে গেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. হুমায়ূন কবিরের সাথে যোগাযোগ করিলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।