শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালকে নাস্তিক আখ্যা দিয়ে তার বহিষ্কার চেয়েছে ওলামা লীগের একাংশ। এ ছাড়া একই অভিযোগে প্রয়াত হুমায়ুন আজাদ, তসলিমা নাসরিন, সেলিনা হোসেনদের লেখা পাঠ্যবইয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি।
অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের আগে শহীদ ও পরে রহমতুল্লাহি আলাইহি যোগ করার দাবি জানিয়েছে সরকারপন্থী এ সংগঠনটি। যদিও সংগঠনটির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের আশ্রয়ে থেকে মৌলবাদী চেতনা বাস্তবায়নের অভিযোগ রয়েছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শনিবার এক মানববন্ধনে সংগঠনটির সভাপতি মুহম্মাদ আখতার হুসাইন বুখারী বলেন, ‘সজীব ওয়াজেদ জয়ের সমালোচনাকারী এবং ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী, শাবির শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধকারী, ছাত্রলীগ-ছাত্রসমাজ ও শিক্ষকদের মাঝে বিভক্তি ও বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী নিন্দিত শিক্ষক ইসলামবিদ্বেষী জাফর ইকবালের বহিষ্কার চাই।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পাঠ্যপুস্তকে কট্টর ইসলাম বিরোধী হিন্দু ও নাস্তিক লেখকদের লেখাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। দ্বীন ইসলামকে কটাক্ষ করে লেখালেখি করে এদেশের জাতীয় পর্যায়ে যে সব চিহ্নিত ইসলামবিদ্বেষী লেখক যেমন : নাস্তিক হুমায়ন আজাদ, তসলিমা নাসরিন, সেলিনা হোসেনসহ আরও অনেক নাস্তিকের লেখাকে বর্তমানে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।’
আখতার হুসাইন বলেন, ‘জাতির জনকের নামের আগে বঙ্গবন্ধু ব্যবহার করা হয়। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে উনার নামের আগে জাতীয়ভাবে শহীদ শব্দ ব্যবহার করা হয় না। নামের শেষে রহমতুল্লাহি আলাইহি বলা হয় না। অবিলম্বে বঙ্গবন্ধুর নামের আগে জাতীয়ভাবে শহীদ শব্দ ব্যবহার করতে হবে, নামের শেষে রহমতুল্লাহি আলাইহি বলতে হবে এবং ১৫ আগস্টকে জাতীয় শাহাদাত দিবস ঘোষণা করতে হবে।’
এ সময় সরকার এবং ওলামা লীগের ‘চরিত্র হরণের’ অভিযোগ এনে দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারকে ‘উলফার টাকায় পরিচালিত বিদেশী এজেন্ট’ আখ্যা দিয়ে পত্রিকা দুটি নিষিদ্ধের দাবি জানান তিনি।
পাশাপাশি ভারতীয় অভিনেত্রী সানি লিওন ও পাওলী দামকে ‘পতিতা’ আখ্যায়িত করে যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশে তাদের আগমন নিষিদ্ধের দাবি জানান তিনি।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুহাম্মাদ আবুল হাসান, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি আব্দুস সাত্তার, জাতীয় কুরআন শিক্ষা মিশনের সভাপতি মুহাম্মাদ আবু বক্কার সিদ্দিক প্রমুখ।